জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রায় ১৬ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকার ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৫টি এবং সংশোধিত প্রকল্প চারটি। এর মধ্য সারা দেশের আরও ১ কোটি মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনতে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ খাতে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরেবাংলা নগরে এনইসির সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের সামনে প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন। বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় একনেকের সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রায় ১৬ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকার মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ১৩ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। প্রকল্পের জন্য ঋণ নেওয়া হবে প্রায় ২ হাজার ৫২৭ কোটি এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন প্রায় ২৮৫ কোটি টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আরও ১ কোটি মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনতে একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। এ জন্য ২০ লাখ নতুন সংযোগ দেওয়া হবে। ২০২০ সালের জুনের মধ্য এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো
২ হাজার ৬৫৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ৭০টি মিটার গেজ (এমজি) ডিজেল ইলেকট্রিক (ডিই) লোকোমোটিভ সংগ্রহ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; ১ হাজার ৩২০ কোটি ৩৭ লাখ টাকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানকল্পে ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড স্থাপন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; ২৮৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কক্সবাজারের লিংক রোড-লাবনী মোড় সড়ক (এন-১১০) চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প; ১০২ কোটি ৪৩ লাখ টাকার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আরিচা (বরঙ্গাইল)-ঘিওর-দৌলতপুর-টাঙ্গাইল সড়কের ৬ষ্ঠ কিলোমিটারে ১০৩.৪৩ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; ১৫৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কানেকটিভিটি শক্তিশালীকরণে সুইচিং ও ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্প।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৪টি প্রকল্প যথাক্রমে সৈয়দপুর ১৫০ মেগাওয়াট ১০০% সিম্পল সাইকেল (এইচএসডি-ভিত্তিক) বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প; রংপুর বিভাগ বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন ও উপকেন্দ্র সম্প্রসারণ এবং পুনর্বাসন প্রকল্প; রাজশাহী বিভাগ বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন ও উপকেন্দ্র সম্প্রসারণ এবং পুনর্বাসন প্রকল্প; এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ (১৯.৫ লাখ গ্রাহক সংযোগের সংস্থানসহ -১ম সংশোধিত) প্রকল্প।