শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তত্পর রয়েছে। যারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের অপপ্রয়াস চালায় তাদের বিরুদ্ধেও ইতিমধ্যে মামলা করা হয়েছে। এ ধরণের অপরধের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের চার বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড কিংবা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
রবিবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত তত্পর রয়েছে। তারা ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, ইতিপূর্বে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত কিছু অসাধু শিক্ষককেও আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অপরাধীদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র আপলোডকারীদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলা করা হয়েছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধে গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী সংসদকে জানান, প্রশ্নপত্র প্রণেতা সংশ্লিষ্ট বোর্ডে উপস্থিত থেকে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করছেন। প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারীর ও পরিশোধনকারীর গোপনীয়তা রক্ষায় শপথ এবং এ বিষয়ে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেওয়া হচ্ছে। অধিকাংশ বোর্ডের মডারেশন কক্ষে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও পরিশোধনকারী মনোয়নের ক্ষেত্রে সত্, যোগ্য মেধাবী এবং মাস্টার ট্রেনিংপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হচ্ছে। বিজি প্রেসে প্রশ্নপত্র মুদ্রণের সঙ্গে জড়িতদেরকে গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারীতে রাখা হয়েছে।