এপ্রিল ২০, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
বরগুনা বরিশাল

বরগুনায় বহুল আলোচিত ভুল চিকিৎসায় নবজাতকসহ প্রসূতির মৃত্যু: অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরগুনার বহুল আলোচিত ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত এবং সেই মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম আসামি মো. মিজানুর রহমানকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-২ এর একটি দল।

র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম জানান, সম্প্রতি বহুল আলোচিত ভুল চিকিৎসায় বরগুনায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম আসামি ছিলেন মিজানুর রহমান। তিনি বরগুনার বামনার মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে।

তিনি বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি বরগুনা জেলার বামনা থানাধীন এলাকায় সন্তানসম্ভবা এক নারীর প্রসব বেদনা উঠলে তার বাবা ও তার স্বামী মিলে তাকে বিকেল ৩টার দিকে বামনা থানার ৪ নম্বর ডৌয়াতলা ইউনিয়নের ডৌয়াতলা সুন্দরবন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে ক্লিনিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সবুজ কুমার দাস পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ আল্ট্রাসনো করে দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমের বাবাকে ২০ হাজার টাকা দিলে তারা অভিজ্ঞ সার্জন দিয়ে তার মেয়েকে অপারেশনসহ সম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রদান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি রাখেন। এতে ভিকটিমের বাবা রাজি হয়ে ক্লিনিকে অগ্রিম ১০ হাজার টাকা জমা দিলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার রুমে ভিকটিমকে অপারেশনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ক্লিনিকের কর্তব্যরত ডাক্তার সবুজ কুমার দাস অন্য কোনও অভিজ্ঞ সার্জন ও স্টাফ ছাড়াই তার অদক্ষ সহকর্মীদের নিয়ে অপারেশন শুরু করেন।

কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও অপারেশন থিয়েটার থেকে কোনও সংবাদ না আসায় পরিবারের সন্দেহ সৃষ্টি হয়। সন্দেহের বশে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে অপারেশন থিয়েটার খোলার জন্য বললেও তারা অপারেশন কক্ষের দরজা বন্ধ রাখেন। এভাবে দীর্ঘ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট অতিবাহিত হবার পর দরজা খোলার জন্য জোরালো দাবি জানালে, ডাক্তার ভিকটিমের বাচ্চাকে তার পেটের মধ্যে পুনরায় রেখে তার পেট বাইরে থেকে সেলাই করে ও কসটেপ লাগিয়ে রাত ১১ টার দিকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করেন। এসময় তিনি রোগীর হার্টবিট বেড়ে গেছে জানান এবং তাকে জরুরিভিত্তিতে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যেতে বলেন।

তাদের পরামর্শে ভাড়া করা অ্যাম্বুলেন্সযোগে বরিশাল নেওয়ার পথে ভান্ডারিয়া থানা এলাকায় পৌঁছানোর দীর্ঘ সময় ভিকটিমের কোনও সাঁড়াশব্দ না পেয়ে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ভিকটিম নারী দেড় থেকে দুই ঘণ্টা আগেই মারা গেছেন।

ওই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে বরগুনা জেলার বামনা থানায় ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-৬) করেন। ঘটনাটি দেশব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হলে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি করে।

এএসপি শিহাব করিম বলেন, র‌্যাব এ বিষয়ে আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের লক্ষে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি দল মিজানুর রহমানকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তাকে বরগুনা জেলার বামনা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

বরিশালে দুর্ঘটনায় নিহত ২

banglarmukh official

রমজানে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে বরিশাল

banglarmukh official

বরিশাল বিমানবন্দর থানার মঙ্গল হাটা গ্রামে মৎস্য খামারের মালিক কে মিথ্যে চাঁদাবাজি মামলায় ফাঁসিয়ে মৎস্য খামার দখল

banglarmukh official

বরিশালে আদালতের তলবে ক্ষমা চেয়ে রেহাই পেলেন ওসি, শোকজের মুখে তদন্ত কর্মকর্তা

banglarmukh official