সুবাশ দাস:
দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, যৗেন কেলেঙ্কারিতে যুক্ত কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বরিশাল শাখার ফয়সাল মাহমুদ এবং সামিহা মাহমুদকে এখনও অপসারন করেনি ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ। এমনকি মাস্তান উল্লার বিরুদ্ধেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মহিলা সদস্য বলেন, “পরিচালক ফয়সাল মাহমুদ এবং তার মেয়ে সামিহা মাহমুদ অবৈধ যৌন কার্যক্রমে যুক্ত, তাছাড়া আর্থিক কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। পত্রিকায় একাধিকবার আসছে। তারপরও তাকে আর তার পরিবারকে অপসারন করা হচ্ছেনা। ফলে আমরা বরিশালে মুখ দেখাতে পারছিনা”। আরও একজন বলেন, “পাবলিক ডোনেশনে পরিচালিত সংগঠনে এসব অনৈতিক ও অসামাজিক, অশ্লীল কাজের তীব্র নিন্দা জানাই।
গুরুজীর প্রতি শ্রদ্ধা কমে যাচ্ছে, যে তিনি এখনও ফয়সাল মাহমুদ এবং সামিহা মাহমুদকে অপসারন/আইনি ব্যাবস্থায় নেয়নি”। বরিশাল অফিসে ফয়সাল মাহমুদ ও তার মেয়ে সামিহা মাহমুদের অফিস রুমে যৌন কেলেঙ্কারি ধরা পড়ার পরও অথরিটি ব্যাবস্থা নেয়নি। একারনে ক্ষোভে ফেটে পড়ছে সদস্যরা। শতাধিক সদস্যরা যাতায়াতও বন্ধ করে দিয়েছে। এমতাবস্থায় মহাজাতক প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সদস্যসহ বরিশালের সাধারন নাগরিকদের একটাই প্রশ্ন, “তাহলে ভারতের মত কি রামরহিম লীলা চলছে কোয়ান্টামেও”। অপকর্মের রাজস্বাক্ষী হওয়ায় নির্যাতনের স্বীকার সুভাশীষ দাস বলেন, “আশা করেছিলাম গুরুজী ব্যাবস্থা নিবে কিন্তু উল্টো কোন কারন দর্শানো ছাড়া আমার সদস্যপদ বাতিল করে ছবি টানিয়ে মানহানি করেছে। এবার খুব শীঘ্রই ফয়সাল মাহমুদের নামে আদালতে অন্যায়, অপকর্ম ধামাচাপা দিতে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চাকুরী থেকে সরানো অভিযোগে মামলা দায়ের করবো। সেই সাথে ছবি টানিয়ে হেনস্থা করার জন্য মানহানির মামলাও করবো”।
ভুক্তভুগী সুমন চন্দ্র দাস বলেন, “সংখ্যালঘু বলে আমাদের উপর নির্যাতন হয়েছে, তা নাহলে সামিহা মাহমুদের সাথে অফিসে অশ্লীল কাজ করার পরও খোরশেদকে চাকুরী থেকে সরিয়ে সবার আড়ালে তাকে বাড়ি পাঠিয়েছে। এসব অপকর্মের বিচার চাই আমরা”। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবীন সদস্য বলেন, “আমরাই কোয়ান্টামের জন্ম দিয়েছি বরিশালে, অথচ আজ ঘৃনায় মুখ দেখাতে পারছি না, এদের জঘন্য কাজের জন্য”। কলঙ্কিত বরিশাল কোয়ান্টাম অফিস, এভাবেই হতাশার বাণী শোনাচ্ছেন বরিশালবাসী।সকলের দাবী, এখন সময় থাকতে প্রশাসনই ব্যাবস্থা নিক, যাতে এসবের পুনরাবৃত্তি না হয়।