পাকিস্তানকে ২৫৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান থেকে বঞ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর সেইসঙ্গে এক ট্যুইটে পাকিস্তানকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলেও চিহ্নিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। তবে, এখানেই শেষ নয়, পাকিস্তানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আরও ‘উপহার’ অপেক্ষা করছে। এমনটাই হুঁশিয়ারি দেওয়া হল ওয়াশিংটনের তরফ থেকে।
মার্কিন প্রেস সেক্রেটারি সারা স্যান্ডার জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ নিতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি সন্ত্রাস রুখতে পাকিস্তান আরও কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরা চাই পাকিস্তান এবার তেমনই কিছু করুক।’ তবে ঠিক কী ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র? আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তার উত্তর মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে।’
গত ১ জানুয়ারি ট্যুইট করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান ট্রাম্প। সেদেশের জন্য বরাদ্দ করা ২৫৫ মিলিয়ন ডলার বা ২৫ কোটি ৫ লাখ ডলার অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে ওয়াশিংটন। এর আগেও এই ব্যাপারে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। এবার সেটাই করে দেখালেন ট্রাম্প। সোমবারই তিনি ট্যুইট করে বলেন, পাকিস্তান দিনের পর দিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অনুদান নিয়েও ‘মিথ্যা’ ছাড়া আর কোনও প্রতিদানই দেয়নি। এরপরই এমন সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকা।
মার্কিন প্রশাসনের তরফে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান যাতে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কড়া পদক্ষেপ নেয়।
আগামী দিনে নিরাপত্তার জন্য আর কোনও অনুদান পাবে কিনা, সেটাও পাকিস্তানকেই তার ব্যবহার দিয়ে প্রমাণ করতে হবে।
ট্রাম্পের ট্যুইটের পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসিফ জানিয়েছিলেন, সময় হলে আসল সত্যিটা প্রকাশ্যে আসবে।
ট্যুইটে ট্রাম্প জানিয়েছেন, গত পনেরো বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে ৩৩ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সাহায্য দিয়েছে। কিন্তু তার প্রত্যুত্তরে যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া কথা রাখেনি পাকিস্তান। এমনই তোপ দাগলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সন্ত্রাস দমনের সদিচ্ছা নিয়েও বারবার পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু এরপরও নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেনি পাকিস্তান। এই কারণেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন ট্রাম্প।