28 C
Dhaka
এপ্রিল ১৯, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
ক্রিকেট খেলাধুলা প্রচ্ছদ

জাতীয় দলে কখনো ফিরতে পারবে নাফীস, বিজয়, নাসিররা?

বাংলাদেশের ক্রিকেটের উত্থানলগ্নে যেমন অসংখ্য নতুন নতুন তারকার জন্ম হয়েছে, তেমনি ঝরে পড়েছে একসময়ের ২২ গজ দাপিয়ে বেড়ানো অনেক ক্রিকেটার। এনামুল হক বিজয়ের কথাই ধরা যাক। জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইনজুরিতে পড়ে দল থেকে বাদ পড়েন। এরপর আর জাতীয় দলে ফিরতে পারেননি তিনি।

কিছুদিন আগে শেষ হয়ে যাওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগেও ছয় ম্যাচে ৬১৯ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন বিজয়।

আরেকজন ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস শেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে। টেস্ট খেলেছেন ২০১৩ সালে। এরপর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ এবং ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নিয়মিত পারফর্ম করেছেন নাফিস। সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ১৬ ম্যাচে ৬০০ রান করেন তিনি।

প্রায়শঃই দেখা যায় জাতীয় দলের জন্য প্রাথমিকভাবে যে ৩০ জনের নাম ঘোষণা করা হয় সেখানে জায়গা করে নিচ্ছেন বিজয় কিংবা নাফিস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত দলে তাঁদের ঠাই হয়না। শাহরিয়ার নাফিস কিংবা এনামুল হক বিজয়ের মতো অনেকটা একই অবস্থা পার করছেন অলরাউন্ডার নাসির হোসেন।

সম্প্রতি জাতীয় ক্রিকেট লিগে নাসির খেলেছেন ২৯৫ রানের একটি ইনিংস, যা বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এছাড়া ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে আট ম্যাচ খেলে ৪৮০ রান করেন নাসির হোসেন। কিন্তু জাতীয় দলে নিয়মিত জায়গা হচ্ছে না একসময় ‘দ্য ফিনিশার’ খেতাব পাওয়া এই অল-রাউন্ডারের। তিনি কখনো দলে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন, আবার কখনো দল থেকে ছিটকে পড়ছেন।

জাতীয় দলে ফিরে আসা কতটা কঠিন? জানতে চাইলে শাহরিয়ার নাফীস বলেন, ‘কেউ ভালো পারফর্ম করে সুযোগ পায়, কেউ অনেক ভালো পারফর্ম করে সুযোগ পায়। একবার জাতীয় দল থেকে বের হয়ে গেলে ফিরে আসাটা অনেক কঠিন। যদি ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন হত তবে এতোটা কঠিন হত না।’

কিন্তু বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান এতটাই নিচু যে, এখান থেকে জাতীয় দলের জন্য কোনো তারকাকে বিবেচনা করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য দরকার এক্সটা অর্ডিনারি কোনো পারফর্মেন্স। নাসির-নাফীসদের পারফর্মেন্স বিসিবি কর্তাদের নজর কেড়েছে। তাহলে কেন সুযোগ পাচ্ছেন না তারা। একবার জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লে পুনরায় দলে ঢোকার রাস্তাটাই বা কী?

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা মনে করেন, জাতীয় ক্রিকেট দল ও ঘরোয়া ক্রিকেটের মধ্যে যোগাযোগ সেতু হিসেবে কাজ করতে পারে ‘এ’ দল। তার ভাষায়, ‘পুরো বছর ‘এ’ দলের নিয়মিত দেশের বাইরে ট্যুর আয়োজন করতে হবে, ফলে দেশের বাইরে সিরিজগুলোতে মানিয়ে নেয়ার সমস্যাগুলো তেমন থাকবে না।’

তাছাড়া ক্রিকেটার নির্বাচনের পদ্ধতি ঠিক আছে কিনা সে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। নির্বাচক বা ক্রিকেট অপারেশনস কমিটি নিয়মিত খেলা দেখছে না বলেও অভিযোগ আছে তার। মি. হীরা বলেন, অনূর্ধ্ব ১৩, ১৫, ১৭ বা ১৯ লেভেলে দল রয়েছে। কিন্তু এরপর যোগাযোগের জন্য একটা সেতু প্রয়োজন হয়। সেই সেতু হতে পারে ‘এ’ দল। কিন্তু এ দলের অস্তিত্বই তো দেখা যায় না।

বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া মানেই শেষ না, ওদের খেলার মধ্যে রাখতে হবে। ‘এ’ দলের আলাদা কোচিং স্টাফ প্রয়োজন, যে নিয়মিত মূল দলের কোচকে জানাবেন দলের অবস্থান সম্পর্কে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়

banglarmukh official

বরিশালে দুর্ঘটনায় নিহত ২

banglarmukh official

পাকিস্তানে ট্রেনে জিম্মি দেড় শতাধিক যাত্রী উদ্ধার, ২৭ সন্ত্রাসী নিহত

banglarmukh official

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেন হাইজ্যাক, জিম্মি শতাধিক

banglarmukh official