এপ্রিল ২০, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
বরিশাল

ববির ১৩ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক ::: বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও তার সহযোগীদের মারধরের ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ১৩ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাড়াও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে আরও ১৪ জনকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিরাজ।

এর আগে ৭ জানুয়ারি দুপুরে নগরীর রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন হুমাহুম রেস্টুরেন্টে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও তার সহযোগীদের মারধরের এ ঘটনা ঘটে। এরপর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির গত ১০ জানুয়ারি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম খান শাওন, শরিফুল ইসলাম, একে আরাফাত, বাংলা বিভাগের রাকিবুল হাসান, তুষার রহমান, রাকিব হোসেন, পলাশ দাস, ইংরেজী বিভাগের তানজিদ মঞ্জু, সাইমুন হোসেন, শাহারিয়ার শাকিল, ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের ফারদিন খান, রসায়ন বিভাগের নাহিদ রাফিন ও নজরুল রিফাত। এছাড়া সিটি করপোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফেরদৌস, ২৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হান্নান বাপ্পী, মামুন ফরাজী, শরিফুল ইসলাম। মামলায় আরও ১০ জন অজ্ঞাত আসামি রয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিরাজ বলেন, হামলাকারী আসামিদের গ্রেফতারে আমরা অভিযান শুরু করেছি। এছাড়া পুরো ঘটনার তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে। ঘটনার মূল ভুক্তভোগী মাসুম হাসপাতালে ভর্তি। তিনি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তার বক্তব্য নেওয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন হুমাহুম রেস্টুরেন্টে দুপুর আড়াইটার দিকে খাবারের বিল পরিশোধ করছিলেন ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ূন কবির। সঙ্গে তার মোটরসাইকেল চালক মাসুম ছিলেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজনের নেতৃত্বে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ২৫-৩০ জনের একটি দল রেস্টুরেন্টের ভেতরে প্রবেশ করে প্রথমে কাউন্সিলরের মোটরসাইকেল চালক মাসুমকে মারধর শুরু করেন। হামলাকারীরা স্প্রাইট-পেপসির কাঁচের বোতল দিয়ে মাসুমের মাথায় ও শরীরে আঘাত করেন। এসময় পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে কাউন্সিলর হুমায়ূন কবিরকে ঘুষি ও লাথি মেরে নিচে ফেলে দেন। ঘটনার খবর পেয়ে হুইসেল বাজিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।

তবে অভিযুক্ত আসামিদের দাবি, তারা ওই হোটেলে খাবার খেতে গেলে কয়েকজন ব্যক্তি এসে তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে টেবিল ছাড়তে বলে। তাতে রাজি না হওয়ায় তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এখন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আব্দুল কাইউম বলেন, রূপাতলীর একটি রেস্টুরেন্টে মারামারির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে শুনেছি। কিন্তু মামলার আসামি কারা তা আমি জানি না।

প্রক্টর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বা বাইরে কোনো শিক্ষার্থী বিপদে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সর্বদা পাশে পাবে। কিন্তু ক্যাম্পাসে বা ক্যাম্পাসের বাইরে অন্যায় কোনো কাজে জড়িত হলে তার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেবে না। এই দায় শিক্ষার্থীর নিজেকেই নিতে হবে।

অন্যায় করলে আইন আইনের গতিতে চলবে উল্লেখ করে ড. আব্দুল কাইউম বলেন, কোনো শিক্ষার্থী ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য কোনো অঘটন ঘটালে তার দায় আমরা কেন নেবো? রূপাতলীর ঘটনায় মামলা হয়েছে। এখন প্রশাসন বিষয়টি দেখবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

বরিশালে দুর্ঘটনায় নিহত ২

banglarmukh official

রমজানে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে বরিশাল

banglarmukh official

বরিশাল বিমানবন্দর থানার মঙ্গল হাটা গ্রামে মৎস্য খামারের মালিক কে মিথ্যে চাঁদাবাজি মামলায় ফাঁসিয়ে মৎস্য খামার দখল

banglarmukh official

বরিশালে আদালতের তলবে ক্ষমা চেয়ে রেহাই পেলেন ওসি, শোকজের মুখে তদন্ত কর্মকর্তা

banglarmukh official