সেতুর আশপাশে বালু উত্তোলন বা বালুমহাল করা যাবে না। এতে পিলারের সাপোর্ট নষ্ট হয়ে সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এমন নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
‘সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু (দোয়ারিকা সেতু) রক্ষার্থে ৩.৭৬৫ কি.মি. নদী তীরে স্থায়ী রক্ষাপ্রদ কাজ’ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশনা দেন। ২৮৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
সেতু সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর বাম তীর ২ কি.মি., সেতু সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর ডান তীর ১ দশমিক ৭৬৫ কি. মি. ও নদীর উত্তর পাশে সৃষ্ট চরে ০ দশমিক ৬২৫ কি. মি. ড্রেজিং কাজ করা হবে। একইসঙ্গে নির্মাণকালীন সেতু ও অ্যাপ্রোচ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি কাজ করা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সুগন্ধা নদীর ভাঙন থেকে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু (দোয়ারিকা সেতু) ও সেতু অ্যাপ্রোচ সড়ক রক্ষাসহ উন্নত ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনসহ প্রকল্প এলাকার জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।
একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সেতুর আশপাশে নদীতে নাব্যতা রক্ষা করতে হবে। নদীর নাব্যতা ঠিক করতে ড্রেজিং করতে হবে। আবার এমনভাবে ড্রেজিং করা যাবে না যাতে নদীর পাড় ভাঙে।’
সড়কের দুইপাশে ফাঁকা জায়গা থাকলে সেখানে গাছ লাগানোরও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।