32 C
Dhaka
অক্টোবর ৩০, ২০২৪
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জাতীয় প্রচ্ছদ

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড,কয়েক মিনিটের মধ্যেই শর্তে জামিন

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেকের ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
রায়ে ৩০ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের চাকরিস্থায়ী করা, কল্যাণ তহবিলের গঠন ও শ্রমিকদের ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আপিলের শর্তে ৫ হাজার টাকা বন্ডে চারজনকেই এক মাসের জামিন দিয়েছেন আদালত।

এদিন রায় শুনতে দুপুরে আদালতে হাজির হন ড. ইউনূস। দুপুর আড়াইটার দিকে রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। ৮৪ পৃষ্ঠা রায়ের সারসংক্ষেপ পড়ে শোনান আদালত। রায়ে আদালত বলেন, নোবেলজয়ী হিসেবে ড. ইউনূসের বিচার হয়নি, বিচার হয়েছে শ্রম আইন লঙ্ঘনের।

এর আগে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা রায়ের জন্য ১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয় শুনানি, চলে রাত সোয়া ৮টা পর্যন্ত। মাঝে এক ঘণ্টা দুপুরের খাবার এবং মাগরিবের নামাজের জন্য বিরতি দেয়া হয় ১৫ মিনিট। শ্রম আদালতে এত সময় ধরে কোনো মামলা শুনানির ঘটনা এটিই প্রথম।

এদিন ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও অ্যাডভোকেট এসএম মিজানুর রহমান। অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।

গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করা, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ড. ইউনূসসহ চারজনকে আপিলের শর্তে জামিন দিয়েছেন শ্রম আদালত। রায় ঘোষণার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আসামিদের জামিন দেন আদালত।

সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে ড. ইউনূসসহ একই মামলায় দণ্ডিত চারজনকে সাজার রায় ঘোষণার পর তাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।

দুপুর ২টা ১৫ মিনিট থেকে রায় ঘোষণা শুরু করা হয়। রায় শোনার জন্য ১টা ৪০ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এদিন রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বর ও আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। খবর সংগ্রহের জন্য ভিড় জমান দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ

banglarmukh official

ডেঙ্গুতে একদিনে ৬ মৃত্যু, হাসপাতালে ১২৪৮ জন

banglarmukh official

দিনে ৯০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স আসছে দেশে

banglarmukh official

কর্মসংস্থান সৃষ্টি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য: নাহিদ

banglarmukh official

সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ গ্রেফতার

banglarmukh official

৩২ এর ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা, ৩ বার বিসিএস দেওয়াদের কী হবে?

banglarmukh official