এপ্রিল ২০, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অপরাধ প্রচ্ছদ প্রশাসন বরিশাল

সবাই খুঁজে পায় শুধু পুলিশ খুঁজে পায়না আসামী আ’লীগ নেতা ছবি চেয়ারম্যানকে

বন্দর থানার স্থায়ী বাসিন্দা তিনি। ৭নং চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের তিন বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এমনকি সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। সদর উপজেলার লাখ লাখ ভোটার তাকে চেনে আওয়ামীলীগ নেতা হিসেবে। তিনি মনিরুল ইসলাম ছবি। তার বিশেষ প্রভাবে চলে বন্দর থানা। কাউকে ধরতে বললে পুলিশ ধরে আবার ছাড়তে বললে ছাড়ে। কিন্তু পরিচিত এই জনপ্রতিনিধিকে খুঁজে পাচ্ছেন না বন্দর থানা পুলিশ। আওয়ামীলীগের ঘরে বাইরে বিতর্কিত মানুষটিকে খুঁজে না পেয়ে আদলতের নির্দেশ বাস্তবায়ন করেনি। ওদিকে আদালতকে ভুল ও মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

২০১৭ সালে সাংবাদিক হত্যার হুমকি ও পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে থানায় জিডি এবং জিডির সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ১৩ নভেম্বর আদালত মনিরুল ইসলাম ছবির বিরুদ্ধে মামলা গ্রহন করে সমন জারি করে। ২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর আদালতের সমন নির্দেশে ১৪ নভেম্বর বরিশাল বন্দর থানায় পৌছলে তা জারি করার দায়িত্ব পরে এএসআই বেল্লালের উপর। বেল্লাল সমন ইস্যুতে দীর্ঘ একমাস ধরে গরিমসি করতে থাকে। মাত্র একদিন নামে মাত্র ১১ ডিসেম্বর ছবির বাড়িতে গিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে যে ছবি তার বাড়িতে নেই। সে ঢাকায় থাকায় সমন ইস্যু করা গেল না। যদিও এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওইদিন তিনি ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত ছিলেন। এমনকি পার্টির কাজে বরিশাল ও তার বাড়িতে বেশ কয়েকবার যাতায়াত করেছেন। কিন্তু পুলিশ তাকে খুঁজে পায়নি।

অভিযোগ রয়েছে, মনিরুল ইসলাম ছবির সাথে যোগাযোগ করেই তার বাড়িতে গিয়েছিল এএসআই বেল্লাল এবং আসামী মনিরুল ইসলাম ছবির পরামর্শ অনুযায়ী আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে ওই পুলিশ কর্মকর্তা। সূত্র নিশ্চিত করেছে, শুধু প্রতিবেদন দাখিল নয়, প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করে প্রথমে মনিরুল ইসলাম ছবিকে দেখায় বেল্লাল। তিনি সম্মতি দিলেই শেষে আদালতে ছবিকে না পাওয়ার প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, মুঠোফোনে ছবির সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়েছে তিনি ঢাকায় রয়েছেন।

প্রশ্ন হলো, আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য র্দীঘ একমাস সময় নিয়েও বন্দর থানা পুলিশ খুঁজে পায়নি কিভাবে? ওই একমাস কি পুরোটাই ঢাকায় ছিলেন ছবি? এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাংবাদিক হত্যার পরিকল্পনাকারীকে সুযোগ করে দিতেই বন্দর থানা কর্তৃপক্ষ আসামী না খুঁজে পাওয়ার প্রতিবেদন দিয়েছে। যদিও ২ জানুয়ারী আদালত মনিরুল ছবিকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের ধার্য তারিখে হাজির হয়নি ছবি। ওদিকে মামলার বাদী মেহেদী হাসান খান বন্দর থানার এএসআই বেল্লালের দাখিলকৃত প্রতিবেদনকে মিথ্যা-বানোয়াট উল্লেখ করে আদালত বরাবর দরখাস্ত করেছেন। সেখানে মেহেদী হাসান খান উল্লেখ করেন, মনিরুল ইসলাম ছবির স্থায়ী ঠিকানা চরকাউয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে। বর্তমানে তিনি বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১০ নং ওয়ার্ডের জর্ডন রোডের বাসিন্দা।

মেহেদী হাসান বলেন, পুলিশ ওই প্রতিবেদন নি:সন্দেহে আসামী কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে দিয়েছে। কারন সবাই যেখানে মনিরুল ইসলাম ছবিকে খুঁজে পায় সেখানে পুলিশ খুজে পায়না কেন? তবে বন্দর থানার এএসআই বেল্লাল বলেন, আমি আসামীকে খুঁজতে তার বাড়িতে গিয়ে না পেয়ে এমন প্রতিবেদন দাখিল করেছি। দীর্ঘ এক মাসেও মনিরুল ইসলামকে খুঁজে পাননি এমন প্রশ্ন করা হলে তার কোন সঠিক জবাব দেননি এই এএসআই।

সম্পর্কিত পোস্ট

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়

banglarmukh official

বরিশালে দুর্ঘটনায় নিহত ২

banglarmukh official