আবারও বন্ধ হয়ে গেলো বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজের করোনা পরীক্ষার পিসিআর মেশিন। আকস্মিক শুক্রবার (১ জানুয়ারি) ল্যাবটির একমাত্র মেশিনটিতে ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে সংগ্রহ করা ৩৮৯টি নমুনার পরীক্ষা এই ল্যাব থেকে করা সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার রাত ৯টায় কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এস এম সরওয়ার’র নিকট পিসিআর ল্যাব থেকে প্রেরিত এক চিঠি’র মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ওই চিঠিতে শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর ল্যাব প্রধান ও ইনচার্জ সহকারী অধ্যাপক ডা. একেএম আকবার কবীর উল্লেখ করেন, ১ জানুয়ারি ল্যাবে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষার প্রস্তুতি হাতে নেওয়া হয়। নমুনাগুলো এনালাইসিসের সময় দেখা যায় নমুনা পরীক্ষার কন্ট্রোল নমুনার অস্বাভাবিক রিডিং দিচ্ছে। এ অবস্থায় বিষয় বিষয় পযবেক্ষণ করে দেখা যায় পিসিআর ল্যাবটি ঈড়হঃধসরহধঃরড়হ হয়েছে। তাই আপাতত ল্যাবটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ওই ল্যাবে ৩৮৯টি নমুনা জমা আছে। যার মধ্যে ৩০টি নমুনা বিদেশ গমনেচ্ছুকদের।
এ ব্যপারে অধ্যাপক ডা. একেএম আকবার কবীর সাংবাদিকদের বলেন, হয়তো আগামী কয়েক দিনের জন্য ল্যাবটি বন্ধ থাকবে। এছাড়া এখানে জমাকৃত নমুনাগুলো বিভাগীয় পরিচালক স্যারের নিকট আলোচনা করে ঢাকায় পাঠানো হবে। তবে বিদেশ গননেচ্ছুকদের নমুনার বিষয়ে জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে হঠাৎ করে ২য় বারের মতো এই পিসিআর ল্যাবটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ বিভাগের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। কিন্তু দিনে একশ’র অধিক নমুনা পরীক্ষা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার।
তিনি বলেন, দেশে করোনার প্রথম পর্যায়ে আমরা নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার বিভিন্ন ল্যাবে পাঠাতাম। এতে করে পরীক্ষার ফলাফল আমাদের কাছে আসতে ৪ থেকে ৫ দিন সময় লাগতো। এরপর চলতি বছরের ৯ এপ্রিল থেকে এই ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ফলাফল পেতাম। গত ৩ ডিসেম্বর ল্যাবের মেশিনটি নষ্ট হয়ে যায়।
তখন ভোলার সিভিল সার্জনের আওতাধীন পিসিআর ল্যাবে নমুনা পাঠাতাম। কিন্তু ৫ ডিসেম্বর ওই ল্যাবটিও বন্ধ হয়ে যায়। এর কয়েক দিনের মাথায় ল্যাব দু’টি ফের চালু হয়। ২য় বারের মতো বছরের শুরুতেই ল্যাবটি বন্ধ হওয়ায় বরিশালের মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হলো।’