বাংলাদেশ পুলিশের নবনিযুক্ত ইন্সপেক্টর জেনারেলের (আইজিপি) দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জাবেদ পাটোয়ারী। বুধবার দুপুরে পুলিশ সদরদফতরে আনুষ্ঠানিকভাবে তার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সদ্য সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক। দায়িত্ব হস্তান্তরের মাধ্যমে ৩২ বছরের কর্মজীবনের ইতি টানেন একেএম শহীদুল হক।
বুধবার পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত ‘বিদায় সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে শহীদুল হক বলেন, আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব শেষ হওয়ার মাধ্যমে পূর্ণ সন্তুষ্টি নিয়ে ৩২ বছরের চাকরি জীবনের ইতি টানছি। তিনি আরও বলেন, গত তিন বছর এক মাস আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে চেষ্টা করেছি পুলিশের সক্ষমতা উঁচুমাত্রায় নিয়ে যেতে এবং পুলিশকে জনবান্ধব করতে। দায়িত্ব পালনকালে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু সাহকিতার সঙ্গে সব সংকট মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি।
‘গত তিন বছরে পুলিশে যা অর্জন তার কৃতিত্ব কনস্টেবল থেকে আইজি পর্যন্ত সবার। আর সব ব্যর্থতার দায় আমার। দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের সবাইকে হয়তো খুশি করতে পারিনি। একটা প্রশাসনিক কাঠামোতে কাজ করতে হয়েছে। এর বাইরে কিছু চাপ, কিছু গাইডলাইন থাকে। ব্যক্তিগতভাবে আমি কারো প্রতি বিরাগভাজন ছিলাম না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, স্বপ্ন অনেক থাকে কিন্তু সব তো পূরণ হয় না। তবে অধিকাংশ কর্মপরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করেছি। পুলিশের পেশাদারিত্বের জন্য ২০টি নির্দেশনা দিয়ে গেছি। ৯৯৯- জরুরি সেবা ছিল সবচেয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। তবে থানা লেভেলে পরিবর্তন সম্ভব হয়নি। আমি চেয়েছিলাম মানুষ যেখানে অভিযোগ নিয়ে যায়, যেটা মানুষের শেষ ভরসা, সেখানে সেবা পেয়ে যেন সন্তুষ্টি নিয়ে ফিরে।
আমি থানা পর্যায়ে সেবার মান বাড়াতে অনেক চেষ্টা করেছি, অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু পুরোপুরি পরিবর্তন হয়নি। যদিও এটা সময় সাপেক্ষ ব্যপার। পুলিশে নতুন ছেলেরা আসছে, আশা করব তারাই মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবে। একই অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, বিগত দিনগুলোতে আইজিপিকে সবাই যেভাবে সহায়তা করেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে সামনের দিনগুলোতেও সে সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি। মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার পুলিশের যে প্রয়াস, সেটা অব্যাহত রাখতে পারলে আরও এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন সদ্য দায়িত্ব নেয়া জাবেদ পাটোয়ারী।