বিরোধীরা হাত মেলালেই মোদি সরকারের পতন নিশ্চিত। লোকসভার আগে প্রথম বড় সমীক্ষাতেই এমনই আভাষ পাওয়া গেছে।বৃহস্পতিবার নিজেদের করা সমীক্ষা প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপ। আর সেখানেই মিলেছে মোদি সরকারের পতনের ইঙ্গিত। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এখনও দেশের মানুষের প্রথম পছন্দ নরেন্দ্র মোদিই। তবে, জনপ্রিয়তায় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে টক্কর দিচ্ছেন রাহুল গান্ধীও।ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপের সমীক্ষা অনুযায়ী, এখনই লোকসভা ভোট হলে গোটা দেশে ২৩৭টি আসন পাবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। গত বছরের তুলনায় যা ৯৯টি আসন কম।
অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জিতবে ১৬৬টি আসন। যা গতবারের তুলনায় ১০৬টি আসন বেশি। ইউপিএ-র অধীনে রয়েছে কংগ্রেস, ডিএমকে, এনসিপি, আরজেডি এবং জেডিএস, জেএমএম-সহ কয়েকটি ছোট দল।অন্যদিকে, অন্যান্য দলগুলি পাবে ১৪০টি আসন। এই অন্যান্য দলগুলির মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের সপা-বসপা জোট। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস, উড়িশ্যার বিজেডি, অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস, তেলেঙ্গানার টিআরএস এবং বামফ্রন্টের মতো দলগুলি।
অর্থাৎ ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে আগামী লোকসভা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম আসন পেলেও ইউপিএ-র সরকার গড়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, বিজেপি তথা এনডিএ-র সঙ্গে সহজে কোনও দল জোটে যেতে চাইবে না। আবার, এআইএডিএমকে, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, টিআরএস এবং বিজেডির মতো বিজেপির বন্ধু মনোভাবাপন্ন দলগুলি এনডিএ-তে যোগ দিলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পৌঁছাতে পারছেন না মোদি। সেক্ষেত্রে তারা আটকে যাচ্ছেন ২৫৭ আসনে। অন্যদিকে, মায়াবতী-অখিলেশ এবং মমতা ইউপিএ শিবিরে যোগ দিলেই সরকার গড়ার মতো জায়গায় পৌঁছে যাবে বিরোধীরা। তাদের মোট আসন হবে ২৬৯। ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে মাত্র তিনটি আসন কম। আপ বা বামেরা সঙ্গে যোগ দিলেই হয়ে যাবে ম্যাজিক ফিগার।
এদিকে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসছে বিজেপি। তারা পেতে পারে ২০২টি আসন। অন্যদিকে, কংগ্রেস পাচ্ছে ৯৭টি আসন।তবে, এই সমীক্ষা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রাজনীতিতে প্রবেশের আগের। তাই কংগ্রেস নেতারা দাবি করছেন, এই সংখ্যাটা অনেকটাই বাড়বে। তাছাড়া মোদি সরকারের জনপ্রিয়তা ক্রমশ নিম্নমুখী। ভোট যত এগিয়ে আসছে ঝড়ের গতিতে জনপ্রিয়তা কমছে মোদির। আর তাতেই আশাবাদী কংগ্রেস শিবির।সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন