পাকিস্তানে শিশু পর্নোগ্রাফি চক্রের মূল হোতা দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের এক মন্ত্রী। সঙ্গে রয়েছেন আরও কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা ও কর্মকর্তা। সম্প্রতি দেশটির কাসুর শহরে ৬ বছর বয়সী শিশু জয়নাবকে ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডেও ওই চক্র দায়ী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শিশু জয়নাবকে ধর্ষণ এবং হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক মোহাম্মদ ইমরান আলি ওই মন্ত্রীর অপরাধচক্রের অন্যতম সহযোগী।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্টে এমন সব চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু কে সেই মন্ত্রী বা কারা তার সহযোগী, তাদের পরিচয় প্রকাশ করেননি সুপ্রিমকোর্ট।
পাকিস্তানের টিভি উপস্থাপক ড. শহিদ মাসুদ দাবি করেন, জয়নাব হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন ইমরান পাকিস্তানের একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসহ প্রভাবশালী এক গোষ্ঠীর সমর্থনপুষ্ট। সরকারিমহলের কোনো নেতার বিরুদ্ধে এমন গুমর ফাঁস করে দেয়ায় জীবন সংশয়ে রয়েছেন ড. শহিদ। এমনকি তার আশঙ্কা, পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থাতেই ইমরানকে হত্যা করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারি কোরআন ক্লাস শেষে বাসায় ফেরার পথে পাঞ্জাবের কাসুর শহর থেকে জয়নাবকে অপহরণ করা হয়। সেসময় বাবা-মা ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে থাকায় খালার কাছে ছিল সে। ৯ জানুয়ারি শাহবাজ খান রোডে আবর্জনার স্তূপ থেকে জয়নাবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।