বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের (বিএসএফআইসি) কাছে চাষিদের পাওনা আড়াই কোটি টাকা পরিশোধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ চিনিকল আখ চাষি ফেডারেশন।
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ চিনিকল আখ চাষি ফেডারেশনের নেতারা শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সঙ্গে বৈঠককালে এ দাবি জানান। এ সময় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
আখ চাষিরা বলেন, লাখ লাখ আখ চাষি রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫টি চিনিকলে আখ সরবরাহ করেও মূল্য পাচ্ছে না। ফলে আখ চাষে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে তারা। এটা অব্যাহত থাকলে আগামী মাড়াই মৌসুমে চিনিকলে আখ না পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বৈঠকে ফেডারেশনের নেতারা চিনি শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় ‘র’ সুগার আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির দাবি জানান। তারা বলেন, ‘র’ সুগার আমদানির ক্ষেত্রে রিফাইনারি মালিকরা পরিশোধিত চিনির ৬০ শতাংশ রফতানির নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। আমদানিকৃত কাঁচামাল থেকে পরিশোধিত চিনির শতভাগ দেশেই বাজারজাতের ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো উৎপাদিত চিনির উপযুক্ত মূল্য পাচ্ছে না। তারা চিনি শিল্পের বর্তমান অবস্থার উন্নয়নে আমদানিকৃত চিনি ও কাঁচামালের শুল্ক যৌক্তিককরণের তাগিদ দেন। একই সঙ্গে তারা এ শিল্পের বিরাজমান সমস্যা চিহ্নিত করে কার্যকর সামাধানে ফেডারেশন, বিএসএফআইসি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের যৌথ অংশগ্রহণে একটি সভা আয়োজনের পরামর্শ দেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, কৃষিভিত্তিক শিল্প হিসেবে বর্তমান সরকার চিনি শিল্প রক্ষায় প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দেবে। এ খাতে বিরাজমান প্রশাসনিক সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে আখ চাষিদের বকেয়া পরিশোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে ফেডারেশনের সভাপতি আলহাজ মো. মজাহারুল হক প্রধান, সিনিয়র সহসভাপতি মো. ফরিদুল হক খান দুলাল, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান আলী বাদশা, সহ-সভাপতি মো. মোসলেম উদ্দিন ও মো. জিন্নাত আলী প্রধান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান আতু, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. ওসমান গণি মোল্যা ও সিরাজুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মো. ইয়াসিন আলী এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব বেগম পরাগ উপস্থিত ছিলেন।