গরিব মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণের বিষয়টি মাথায় রেখে ভিটামিন ‘এ’ ও বিটা-ক্যারোটিন যুক্ত ‘গোল্ডেন রাইস’ নামক সোনালি বর্ণের ধান শিগগিরই উৎপাদনে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইআরআরআই) ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিআরআরআই) এর এই আবিষ্কার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া জৈব প্রযুক্তি প্রকৌশলের মাধ্যমে রূপান্তরিত এই ধানের অনুমোদন দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে ইরি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এটা জিএম (জেনেটিক্যালি মডিফায়েড) ধান। গরিব মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য এটা আবিষ্কার করেছে ইরি। বিরি এতে সহায়তা করেছে। এটা ইম্প্রুভ ভ্যারাইটি, হাইব্রিড না। তাই সাধারণ জাতের মতোই চাষি জাত সংরক্ষণ বীজ রাখতে পারবেন। এটা অন্য জাতের মতোই সহজ ও সুলভ চাষাযোগ্য’।
তিনি বলেন, আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠী ভাতের ওপর নির্ভরশীল। তারা পুষ্টিকর সবজি বা ফল-ফলাদি কিনে খেতে পারেন না। তাদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণের জন্যই একটি জিন ডেভেলপমেন্ট করে এটা করা হয়েছে। আশা করছি তিন মাসের মধ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেবে। জিএম জাত বলেই সতর্কমূলক পরীক্ষা করছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-ইরি ধানটি যাতে দ্রুত অনুমোদন পায় সে বিষয়ে অনুরোধ করেছে। তারা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ভূমিকা রেখেছে এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-বিরি’কে সবসময় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের কোস্টাল এরিয়ার স্যালাইন কন্ডিশনের জন্য নতুন এ জাতের ধান উদ্ভাবনে সহায়ক হবে বলেও আলোচনা হয়েছে।