বরিশালের আগৈলঝাড়ার শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২০১৬ সালের এমসিকিউ’র প্রশ্নপত্রে ৮১ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই কেন্দ্রের সচিব ও হল সুপারের দায়িত্বে অবহেলায় আজ বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীন গণিত পরীক্ষায় এই ঘটনা ঘটে। সৃজনশীল পরীক্ষার প্রশ্ন সংকটের কারণে ফটোকপি প্রশ্ন সরবরাহ করায় ৩ ঘন্টার স্থলে ৪ ঘন্টা পরীক্ষা নেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
ওই কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী অপূর্ব বাড়ৈ, অমিও অধিকারী এবং অরিন্দমসহ একাধিক পরীক্ষার্থী জানান, যথা সময়ে তাদের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অন্তত ত্রিশ মিনিট পর তারা বুঝতে পারেন, ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিচ্ছেন তারা। সাথে সাথে বিষয়টি হল সুপার ও কেন্দ্র সচিবকে অবহিত করেন তারা। কেন্দ্র সচিব শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ ও হল সুপার কাঠিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র কর পরীক্ষার্থীদের কথায় ভ্রুক্ষেপ না করে সরবরাহকৃত প্রশ্নেই উত্তর লেখার নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক ভুল প্রশ্নে পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধ্য হয় ওই কেন্দ্রের ৮১ পরীক্ষার্থী।
এমসিকিউ পরীক্ষার পর সরবরাহকৃত সৃজনশীল প্রশ্ন বিতরণকালে প্রশ্নপত্রে সংকট ধরা পরে। এ সময় পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা বন্ধ করে পার্শ্ববর্তী পরীক্ষা কেন্দ্র ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমী ও গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফটোকপি করে সেগুলো পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। ফটোকপি প্রশ্নপত্র সরবরাহে বিলম্ব হওয়ায় তিন ঘন্টার স্থলে চার ঘন্টা পরীক্ষা দিয়েছে ওই কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা।
আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল জানান, ওই কেন্দ্রে মোট ৩৮৩ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ৮১ জনকে ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। তবে তাদের ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহের খবর কেন্দ্র সচিব বা হল সুপার তাকে জানায় নি। সৃজনশীল প্রশ্নপত্র সরবরাহ করার পর পরীক্ষার্থীদের কাছে ভুলের বিষয়টি ধরা পরে। তবে বিষয়টি তাৎক্ষণিক বরিশাল শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
বোর্ডের বরাত দিয়ে ইউএনও আরো জানান, বোর্ড তাকে মৌখিকভাবে অবিহিত করেছে উত্তরপত্র দেখার সময় ওই ভাবেই মূল্যায়ন করা হবে।
চার ঘন্টা পরীক্ষা নেয়ার সত্যতা স্বীকার করে ইউএনও বলেন, প্রশ্নপত্র দেরিতে দেয়ায় তাদের পরীক্ষার সময় বাড়ানো হয়। দায়িত্বে অবহেলার কারণে কেন্দ্র সচিব, হল সুপারসহ অন্যন্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের কাছে সুপারিশ করবেন বলে জানান ইউএনও।