প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, সরকারের গত দুই মেয়াদে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০ লাখ ৪৭ হাজার ৫১৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা রেমিটেন্স অর্জিত হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের মঙ্গলবারের বৈঠকের প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলীয় সদস্য পীর ফজলুর রহমানের (সুনামগঞ্জ-৪) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রীর দেয়া তথ্যমতে, ২০০৯ সালে রেমিটেন্স এসেছে ৭৩ হাজার ৯৮১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, ২০১০ সালে ৭৬ হাজার ৬৩৯ কোটি ৯৭ লাখ, ২০১১ সালে ৯০ হাজার ২৪০ কোটি ৮৫ লাখ, ২০১২ সালে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮১৬ কোটি ৯৩ লাখ, ২০১৩ সালে ১ লাখ ৮ হাজার ৬৬ কোটি ৯৩ লাখ, ২০১৪ সালে ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৯ কোটি ৬২ লাখ, ২০১৫ সালে ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৩ কোটি ৬২ লাখ, ২০১৬ সালে ১ লাখ ৭ হাজার ২৯৪ কোটি ৬০ লাখ, ২০১৭ সালে ১ লাখ ১০ হাজার ২৪৬ কোটি ৬৭ লাখ এবং ২০১৮ সালে রেমিটেন্স অর্জিত হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৮৯৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
বিএনপি আমলে ১৫ লাখ, বর্তমান সরকারের আমলে ৫৯ লাখ কর্মী বিদেশ গেছেন :
নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ জানান, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত আমলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রেরিত কর্মীর সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮২ জন। এর মধ্যে সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে গেছে মাত্র ১ হাজার ৯২২ জন। পক্ষান্তরে ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বর্তমান সরকারের আমলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৫৯ লাখ ৯২ হাজার ১৩২ জন কর্মী গেছেন। এর মধ্যে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গেছে ২৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৩ জন এবং ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গেছে ৩৪ লাখ ৮২ হাজার ২ জন। এর মধ্যে সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে গেছে ৭৬ হাজার ১৭৯ জন।
মালয়েশিয়ায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯২৭ জন :
নজরুল ইসলাম বাবুর (নারায়নগঞ্জ-২) অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী জানান, মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে জিটুজি প্লাস সমঝোতা স্বাক্ষরের পরে এ প্রক্রিয়ায় ২০১৮ সালেই শুধু মালয়েশিয়ায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯২৭ জন কর্মী গেছে। এর মধ্যে সরকারিভাবে গেছে ৯ হাজার ৩৩ জন।
প্রতিটি উপজেলা হতে প্রতি বছর বিদেশে যাবে ১ হাজার কর্মী :
আনোয়ারুল আবেদীন খানের (ময়মনসিংহ-৯) অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদেশে গমনের ক্ষেত্রে দেশের সকল জেলা হতে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো কোটা অনুসরণ করা হয় না। তবে অভিবাসনে পিছিয়ে পড়া জেলাসমূহকে আরও উৎসাহিত করার জন্য সরকার প্রতিটি উপজেলা হতে প্রতি বছর গড়ে ১ হাজার কর্মী পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।
এসময় তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ১৬৮টি দেশে কর্মী পাঠান হচ্ছে।