প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতুতে দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের কঠোর সমালোচনা করলেন । তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আমাদের দেশের লোকই আমাদের বদনাম করে।
কিছু পত্রিকার এডিটর প্লাস মালিক ও চট্টগ্রামের এক সুদখোর সন্তান আছে, সেই সুদখোর আর এডিটর মিলে স্টেট ডিপার্টমেন্টে আমাদের বিরুদ্ধে সমানে অপপ্রচার চালায়।
রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামে এক সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এরআগে চট্টগামে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’-এর বোরিং কার্যক্রম ও শহরের লালখান বাজার থেকে শাহ্ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিন, সকাল পৌনে এগারোটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুটি প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছান। দুটি প্রকল্পের উদ্বোধনের পর মোনাজাত ও দোয়ায় অংশ নেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মাসেতুর টাকা যখন তারা বন্ধ করেছে, এটা একটা চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিলাম। এরপর কানাডা কোর্টে মামলা হয়, কিন্তু সেই মামলায় কোনো প্রমাণ ওয়ার্ল্ড ব্যাংক দেখাতে পারেনি।
এখানে কোনো দুর্নীতি হয়েছে। সেই মামলার রায়ে বলে দেন, এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি, বিশ্বব্যাংক যা যা বলেছে, সব ভুয়া, বানোয়াট।’
তখন দুটি বছর সময় নষ্ট হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেকেরই ধারণা ছিল, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ছাড়া বাংলাদেশের কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। এরকম একটা চিন্তা নিয়ে সবাই চলতো। আর আমার কথা ছিল, আমরা নিজেরা করব।
আমার একজন উপদেষ্টা ও তৎকালীন অর্থমন্ত্রীও আমাকে খুব চাপ দিচ্ছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাদের (বিশ্বব্যাংক) নানারকম শর্ত, অমুককে অ্যারেস্ট করো, আমরা টাকা দেব। অমুককে বের করো, আমরা টাকা দেব।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মাসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দিয়ে গিয়েছিলাম ২০০১ সালে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর এই পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। তারা অ্যালাইনমেন্ট চেঞ্জ করে। তারা বলে, এখানে হবে না, এটা অন্য জায়গায় হবে। এভাবে তারা কালক্ষেপণ করে।’
তিনি আরও বলেন,আমরা ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি, আবার উদ্যোগ নেই ওই সেতুটি নির্মাণের জন্য। তখন সবাই খুব উৎসাহ দেখায়, এগিয়ে আসে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবিসহ প্রত্যেকেই আর্থিক সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। সবেচেয়ে বেশি উৎসাহ দেখিয়েছিল বিশ্বব্যাংক।