জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে এ দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন।
নতুন রাজনৈতিক দল গঠন এখন কেবল ঘোষণার অপেক্ষায়। কিন্তু যাত্রা শুরুর আগেই দলের শীর্ষ পদের দাবি নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের বিরোধ প্রকাশ্যে আসে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির এ দল গঠনের প্রক্রিয়ায় যুক্ত ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক নেতাদের পদ দাবি করাকে কেন্দ্র করে বিরোধের সূত্রপাত হয়। শেষপর্যন্ত সব পক্ষকে খুশি রাখতে বা সবার মন জোগাতে সমঝোতা করে শীর্ষ পদের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
নতুন দলের সাংগঠনিক কাঠামো কেমন হবে তা নিয়ে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের কাঠামোতে বর্তমানে যেসব পদ আছে, সেগুলো যথারীতি থাকবে।
আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখ্য সংগঠক এবং মুখপাত্র- এ চারটি পদের পাশাপাশি নতুন পদ তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে কে কোন পদে থাকবেন সেটি চূড়ান্ত হয়নি।
নাগরিক কমিটির কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংগঠনটির বর্তমান সদস্য সচিবের পদে থাকা আখতার হোসেনকে নতুন দলেও একই পদে রাখার জন্য সদস্যদের একটি পক্ষের চাপ রয়েছে।
একই পদে নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর নামও প্রস্তাব করেছেন কেউ কেউ।
আবার বর্তমান আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকেও এই পদে চায় একটা পক্ষ।
অন্যদিকে, ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতারা চান নাগরিক কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আলী আহসান জোনায়েদকে যেন নতুন দলের সদস্য সচিব করা হয়।
নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক পাটওয়ারী জানান, আহ্বায়ক পদ বাদে কোনো পদেই এখনো নাম চূড়ান্ত করা হয়নি।
একইসঙ্গে সাংগঠনিক কাঠামো তৈরির জন্য বিশ্বের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাঠামো দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বের যে কাঠামো আছে, সেগুলো দেখে স্ট্রাকচার রেডি করছি। তবে এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি