শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী জানিয়েছেন, প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পর্যায়ক্রমে বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) তুলে দেওয়া হবে।
সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্ন ফাঁস ইস্যুতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এমসিকিউ প্রশ্ন পর্যায়ক্রমে তুলে দেওয়া হবে। তাহলে প্রশ্নফাঁসের সুযোগ থাকবে না। এসময় একটি চক্র প্রশ্নফাঁস করে সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ইতিমধ্যে তাদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এসময় সংসদে জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম মিলন বলেন, পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। চরম ব্যর্থতা বলব না। মনে হয় সাহসী সৎ নিষ্ঠাবান লোক সেখানে নেই। তিনি বলেন, শিক্ষা বোর্ড দুর্নীতির আখড়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। সৎ নিষ্ঠাবান লোক খুঁজে বের করে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। কোচিং ব্যবস্থাও দায়ী। এটা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস রোধে বিভিন্ন কৌশল নেয়ার পরও এই পর্যন্ত সব বিষয়েরই এমসিকিউ প্রশ্ন পরীক্ষা শুরুর আগেই ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে ফাঁস হয়েছে। এর আগে শিক্ষা সচিবও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এমসিকিউ তুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কড়া হুশিয়ারি এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস করার যারা হোতা, যারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সে ধরনের যারা অপরাধীদের ধরিয়ে দিতে পারলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণাতেও রোধ করা যায়নি প্রশ্নফাঁস।