31 C
Dhaka
অক্টোবর ৩০, ২০২৪
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অর্থনীতি প্রচ্ছদ বরিশাল রাজণীতি

বরিশালে অস্তিত্ব ফেরানোর কঠিন চ্যালেঞ্জে’র মূখে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ

অনলাইন ডেস্ক:

কালের গহ্বরে হারিয়ে যাওয়া বরিশাল নগরীর বটতলা খালটি পুনরুদ্ধারে বিশেষ ভূমিকায় সিটি মেয়রের সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।

জলাবদ্ধতা সহ নগরীর বহুমুখী সংকট থেকে উত্তরণে মেয়র একের পর এক জনকল্যানকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

বিগত পৌরসভা থেকে সাবেক সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদকালীন সময়গুলোয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বরিশাল নগরীর অধিকাংশ খাল গুলোই ভরাট করে দখল করে নিয়েছে কতিপয় প্রভাবশালীরা।বরিশালে নদী খাল প্রাকৃতিক জলাধার দখল হয়ে থাকায় স্বল্পতেই জলাবদ্ধতা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, বরিশালের বিভিন্ন খালগুলো দিয়ে নিষ্কাশন হতো বর্জ্য,ড্রেনেজ পানি।

কিন্তু এগুলো এখন অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলায় অল্প কিংবা ভারী বৃষ্টি হলেই নগরীর বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।প্রভাবশালীদের নখড় থাবায় দখলে থাকা খালগুলোর জমি দখলমূক্ত করনে বেগ পেতে হওয়ায় উদ্যোগ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকতো তৎকালীন সময়ে।

বিসিসি’র সূত্রে জানা গেছে, নগরীর খালগুলোর দখলমুক্ত করে প্রশস্ততা ফিরিয়ে আনতে গত ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিলে বিসিসি’র অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩২ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছিল।এর মধ্যে ১৬টি খালের ৪৫. ৭৭ বর্গকিলোমিটার পুনঃখনন বাবদ ব্যয় করা হয় ৩ কোটি ৩১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।

তৎকালিন সময়ে খাল খননের ঠিকাদার ওয়ার্ড কাউন্সিলররা নামে বেনামে কাজ নিয়ে যেনতেন লোক দেখানো মাটি কেটে বিল তুলে নেয়ায় বর্তমানে খালগুলো অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। একই সঙ্গে জলাবদ্ধতার হুমকিতে পড়েছে নগরী।সাবেক পরিষদগুলোর নির্বাচিত মেয়ররা দায়িত্ব পালন করে গেলেও নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে তেমন কোন ভূমিকা সেকারনে দৃশ্যমান ছিল না।

কিন্তু সেই চিত্র বদলে দিতে বর্তমান বিসিসি’র মেয়রের সাহসী পদক্ষেপে সফল হবার সম্ভাবনাময় বলে ধারনা করছে নগরবাসী।সরেজমিনে,শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া খালগুলোর বেশির ভাগই অস্তিত্ব হারিয়েছে। কীর্তনখোলা নদীও যথাযথ রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে পর্যায়ক্রমে দখল হচ্ছে।বরিশালের খালগুলোর মধ্যে অন্যতম রূপাতলীর বটতলার খালটি সম্প্রতি ঐ এলাকার নগরসেবার কার্যক্রম তদারকি করতে গেলে খালটি দখলহওয়ায় দৃষ্টিগোচর হয়।

এরপরে তাৎক্ষণিক ভাবে বিসিসি’র সম্প্রতি শাখাকে সার্ভেয়ার কতৃক পরিমাপ করে অবৈধ অংশ চিহ্নিত করন করে সড়ক পরিদর্শকদের অতিসত্বর খালটি দখল মূক্ত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দেয়।দখল হওয়া খালগুলো’র জায়গা দখল মূক্তকরনে সাবেক মেয়ররা প্রভাবশালী মহলের ক্ষমতা’র লম্বা হাতে ব্যার্থ হয়ে আসাতে নতুন এ নগর পিতার এ খাল দখল মূক্তকরন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে বলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামতে উঠে এসেছে।

মেয়রের নির্দেশনায় গতকাল বরিশাল নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ড রুপাতলী বটতলা এলাকার র‍্যাব আট এর অফিস সংলগ্নের খালটি পরিমাপ করার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু করেছে সম্প্রতি শাখার দায়িত্বরতরা।

এলাকাবাসী জানান,আশির দশকের মাঝামাঝি সময়েও খালটিতে নৌকা চলাচল করতো। স্থানীয় প্রভাবশালী কতিপয়রা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাথে সক্ষতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে দিনকে দিন পর্যায়ক্রমে গ্রাশ করে নেয়া হয়।বরিশালে এখন যা দুয়েকটি অবশিষ্ট রয়েছে তাকে খাল বলার উপায় নেই মোটেই। নগরীর বর্জ্যের ভাগাড়ে পরিণত হয়ে বদ্ধজলের খালগুলো এখন পরিবেশ দূষন করছে। অবৈধ দখলদারদের কারণে পরিবেশ হুমকীর মুখে রয়েছে তারা।

অপরদিকে কীর্তণখোলা নদী আজ দখলদারের বন্ধনে হাস ফাস করছে।শিল্প সৃষ্ট দূষণের কারণে কীর্তণখোলায় কেমিক্যাল দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সাবেক সময়ে এ বিষয়ে জোরালো উদ্যোগ ও ব্যবস্থা গ্রহন না করায়। বরিশাল নগরীকে জলাবদ্ধতা মুক্ত রাখতে এবং খালের পাড় সৌন্দর্য বর্ধন করে ওয়াকওয়ে নির্মাণের প্রস্তাবিত প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায়।

এ প্রকল্পে বরিশালের ৪৬ টি খাল খনন,ওয়াকওয়ে নির্মান, স্টিট লাইট,পাড় সংরক্ষণের জন্য ১৪ শত কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পেশ করা হয়েছে।

প্রকল্প অনুমোদনের পরে যাতে করে সময় বিলম্বিত না হয়ে নতুন কোন জটিলতার সম্মূখ্যীন হতে হয় সে কারনে খালগুলোর জায়গা পরিমাপ করা সহ অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে উচ্ছেদের পরিকল্পনার বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন তারা বলে জানায়,বিসিসি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মাদ আনিসুজ্জামান। সম্প্রত্তি শাখার এ্যাস্টেট অফিসার মাহাবুবুর রহমান শাকিল বলেন, বরিশাল নগরবাসীদের প্রধান সমেস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম বর্ষায় জলাবদ্ধতা।

আর নগরীর অন্যতম সমেস্যা গুলো থেকে নগরবাসীদের মূক্তি দিতে পরিকল্পনা মাফিক মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী ধারাবাহিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। তিনি সহ সার্ভেয়ার সড়ক পরিদর্শক(আর আই) সমল্লিত একটি টিম গতকাল রুপাতলীএলাকার বটতলার খালের সরেজমিন প্রদর্শন করে এবং খালের দুই পাশের জমি দখল হওয়ায় খালটি সঙ্কুচিত করে পানিপ্রবাহ প্রায় বন্ধ হয়ে থাকায় তাৎক্ষণিক ভাবে পরিমাপের কার্যক্রম শুরু করে দেয়।

অচিরেই পরিমাপ শেষে খালটি’র জায়গা দখলমূক্ত করে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে বলেও জানায় তিনি। বিসিসি’র সড়ক পরিদর্শক মোঃরেজাউল কবীর জানায়,মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনায় সরেজমিনে দেখা গেছে খালের দুই পাড় দখল করে বহু বাড়ি ঘর ও স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।খালের দুই পাড় দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে বহু স্থাপনা।

সার্ভেয়ারের পরিমাপের কাজ সম্পূর্ণ হবার পরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা অপসারণে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে কতৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক। মেয়রের এহেন চলমান পদক্ষেপে স্বচ্ছতা ফিরে পাচ্ছে নগর সেবার কার্যক্রমে আর নগরবাসীরা এ খাল পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপে’র বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতার হুমকি’র মূখে আর পরতে হবে না নগরবাসীদের।

সম্পর্কিত পোস্ট

সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ গ্রেফতার

banglarmukh official

খালেদা জিয়ার কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি পেছাল

banglarmukh official

জামায়াতের হিন্দু শাখা গঠন, যা বলছেন নেতারা

banglarmukh official

এই সুযোগ নষ্ট হলে দেশ অনেক পিছিয়ে যাবে: ড. ইউনূস

banglarmukh official

তাপসকে দুদকে তলব

banglarmukh official

আহতদের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের

banglarmukh official