ইংল্যান্ডের সঙ্গে ওয়ানডে মানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার! ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর টানা ১০ ওয়ানডেতে ক্যারিবীয়দের হারিয়েছে ইংলিশরা। এমনকি গত ২০ ফেব্রুয়ারি ব্রিজটাউনে হারতে হয়েছে ৩৬০ করেও। অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা ইংল্যান্ডকে গত পরশু পাঁচ বছর পর প্রথম হারের তেতো স্বাদ দিল জেসন হোল্ডারের দল।
শিমরন হেটমায়ারের সেঞ্চুরি ও ক্রিস গেইলের ফিফটিতে একই ভেন্যুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছিল ৬ উইকেটে ২৮৯। জবাবে ৪০তম ওভারে ৪ উইকেটে ২২৮ করে জয়ের পথেই ছিল এউইন মরগানের দল। কিন্তু ৩৫ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে নাটকীয়ভাবে ইংল্যান্ড হারে ২৬ রানে। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট নিয়ে এ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা শেলডন কটরেলের। তবে অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ইংলিশ ধসের শুরুটা করেছিলেন ঠিক সময়ে ৩ উইকেট নিয়ে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সমতা এখন ১-১।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবীয় দুই ওপেনার ক্রিস গেইল ও জন ক্যাম্পবেল ১২ ওভারে গড়েছিলেন ৬১ রানের জুটি। প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা গেইল ব্রিজটাউনে ফেরেন ৬৩ বলে ১ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৫০ করে। শাই হোপ, ড্যারেন ব্রাভোরা ভালো শুরু করেও বড় করতে পারেননি নিজেদের ইনিংস। তবে তরুণ প্রতিভাবান শিমরন হেটমায়ার ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অপরাজিত শেষ পর্যন্ত। ২২তম ওয়ানডেতে চতুর্থ সেঞ্চুরি ৮২ বলে। ৫০তম ওভারের পঞ্চম বলে বেন স্টোকসের বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে পূরণ করেন তিন অঙ্কের কোটা। ৮৩ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ম্যাচসেরা হেটমায়ার অপরাজিত ১০৪ রানে। জবাবে নিজের প্রথম দুই ওভারে দুই ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলেন শেলডন কটরেল। বেন স্টোকসের ৭৯ ও এউইন মরগানের ৭০-এ চাপটা কাটায় সফরকারীরা। ৪০তম ওভারে আক্রমণে ফিরে সর্বোচ্চ ৭৯ করা স্টোকসকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান জেসন হোল্ডার। ইংল্যান্ডের ধসের শুরু এরপরই। ৪২তম ওভারের টানা দুই বলে হোল্ডার ফেরান জস বাটলার ও টম কুরানকে। ৩৫ রানের ব্যবধানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড অল আউট ২৬৩-তে। কটরেল ৪৬ রানে ৫ ও হোল্ডার ৫৩ রানে নেন ৩ উইকেট। ক্রিকইনফো
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ৫০ ওভারে ২৮৯/৬ (হেটমায়ার ১০৪*, গেইল ৫০; উড ১/৩৮, রশিদ ১/২৮)।
ইংল্যান্ড : ৪৭.৪ ওভারে ২৬৩ (স্টোকস ৭৯, মরগান ৭০; কটরেল ৫/৪৬, হোল্ডার ৩/৫৩)।
ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৬ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : শিমরন হেটমায়ার।