তানজীল শুভ:
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সরবরাহের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফি’র নামে ৩শ থেকে ৫শ করে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলায় ২৩টি হাইস্কুলের ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় প্রায় ৪ হাজার ও ৪শ পরীক্ষার্থী রয়েছে।
১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু । উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর পাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক খাঞ্জাপুর গ্রামের মো. কামাল হোসেন (৪৮)জানান, তার ভাতিজার প্রবেশপত্র আনতে গিয়ে তিনশত পঞ্চাশ টাকা দিতে হয়েছে। অভিভাবক মিজান মুন্সী জানান, তার কন্যার ফরম পুরনে ৪ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল। এখন আবার প্রবেশপত্র আনতে সাড়ে তিন শত টাকা দিতে হয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক মো. জামাল হাওলাদার জানান, তার পুত্রের প্রবেশ পত্র আনতে গেল স্যারেরা ৪শত টাকা দাবি করেন। একই অভিযোগ করেন কমপক্ষে আরো চার অভিভাবক। প্রধান শিক্ষক মো. অলিউল্লাহ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রবেশ পত্রের জন্য নয়, কেন্দ্র ফি বাবদ টাকা রাখা হচ্ছে।
বার্থী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক আসাদুজ্জামান অভিযোগ করেন, তার ভাতিজার প্রবেশ পত্র আনতে চারশত টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। গৌরনদী উপজেলার প্রায় সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকদের কাছ থেকে একই অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির গৌরনদী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বলেন, এবারে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরনের সময় অধিকাংশ পরীক্ষার্থীই কেন্দ্র ফির টাকা বাকি রেখে ফরম পুরন করেছে। তাদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফি’র টাকা রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রবেশপত্রের জন্য কোন টাকা রাখা হচ্ছে না গৌরনদী উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লিটু ব্যানার্জি বলেন, প্রবেশপত্র প্রদানে টাকা নেওয়ার কোন বিধান নেই। অভিভাবকগণ লিখিত অভিযোগ দিলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।