অনলাইন ডেস্ক:
চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম আখেরী মোনাজাতে বলেছেন,হে আল্লাহ নাস্তিক মুরতাদদের নসিবে হেদায়াত না থাকলে তাদের ধ্বংস করে দিন।
আমীন আমীন বলে এসময় ময়দানে উপস্থিত লাখ লাখ মুসুল্লি সাড়া দিয়ে পীরের দুয়ায় সমর্থন জানায়।
শনিবার সকালে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তিনদিন ব্যাপী আয়োজিত চরমোনাইর মাহফিল শেষ হয়।
সকাল ৮ টা ৩৩ মিনিট হতে ১২ মিনিট ব্যাপী আখেরী মোনাজাতে পীর রেজাউল মহান আল্লাহর দরবারে আরো বলেন, আল্লাহ হক্ব বাতিলের পরিচয় প্রকাশ করে দিন। হককে বাতিলের থেকে বিজয় দিয়ে দিন।
মোনাজাতে তিনি মহান আল্লাহর দরবারে সকলের কৃত পাপের ক্ষমা চান। মৃত্যুর ভয়ে কবর হাশরের চিন্তায় মোনাজাতে পীরের সাথে কান্নায় ভেংগে পড়েন মুসুল্লিরা। মুসুল্লীদের কান্নায় চরমোনাইর আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যায়।
মোনাজাতে মহান আল্লাহর দরবারে দেশ ও মুসলিম জাতির কল্যান চেয়ে দুয়া করা হয়। মুনাজাতে তিনি ঢাকায় চকবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ও নিহতদের জন্য মাগফিরাত কামনা করেন।
রোহিঙ্গা মুসলিমদের হেফাজতের জন্য মাহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন। আখেরী মোনাজাতে প্রশাসন, পুলিশ ও সাংবাদিকদের জন্যও দুয়া করেন। মোনাজাতের পূর্বে পীর রেজাউল নতুন ও পুরাতন মুরিদদের সবক বাতলাইয়া দেন।
ফজর বাদ তিনি মাহফিলের শেষ বয়ান করেন। বয়ানে জীবনের প্রত্যেক কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য করতে বলা হয়। বয়ানে তিনি হাদীস কুরআনের উদ্বৃতি দিয়ে মানুষের জীবনের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রেও ইসলাম প্রতিষ্ঠার দাবী জানায়।
এসময় তিনি মৃত্যুর ভয়াবহতা,কবরের শাস্থি,হাশরের ময়দানে হিসাব দেয়ার ভয়াবহতা এবং জাহান্নামের ভয়ংকর শাস্তির কথা উল্লেখ করেন। এতে মুসুল্লিরা আল্লাহর ভয়ে কম্পিত হয়ে মহান আল্লাহর দরবারে কান্নার্ত কন্ঠে ফরিয়াদ করতে থাকে।
চরমোনাই মাহফিলে মহিলাদের আসতে নিষেধ করে পীর বলেন মহিলারা কোন মাহফিলে অবাধ যাওয়ার ফলে বিদয়াতি কর্মকান্ড শুরু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মাহফিলে আসা মুসুল্লিদের মধ্য হতে বিভিন্ন কারনে অসুস্থতায় মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের মরদেহ জানাজা শেষে তাদের স্ব স্ব এলাকায় দাফনের জন্য পাঠান হয়। মুনাজাত শেষে লঞ্চ, ট্রলারে, গাড়ীতে মানুষের ঢল নামে।
সাড়াদিন ব্যাপী মানুষ বাড়ি ফিরতে চেষ্টা করলেও লোকের ভীরে একদিনে মাঠ পরিস্কার হয়নি । এদিকে মাহফিল শেষ হলে রাস্তাঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয়।
মুজাহিদ কমিটির সদস্যরা, বরিশালের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা, পুলিশ প্রশাসন সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে লোকজনের সুষ্ঠু ভাবে বাড়ি ফিরতে সহায়তা করেন।