প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে ১০ হাজার ৪৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় দুই হাজার বেড়েছে। এতে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৫৯ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮১ জনে পৌঁছেছে।
একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ লাখ ৭৪ হাজার ৩০৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে দেড় লাখের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪২ কোটি ৯৭ লাখ ৮১ হাজার ৯৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
মহামারি এ ভাইরাসের শুরু থেকেই আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে জার্মানিতে। এ সময়ে দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৯ জন এবং মারা গেছেন ২৫৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৬২১ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২২ হাজার ৬২২ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ হাজার ৩৭৭ জন এবং মারা গেছেন ২ হাজার ৪২০ জন। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯ লাখ ৬৬ হাজার ৩৯৩ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৮৫ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪২ জন। আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৫৬ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬২৬ জন।
আর প্রতিবেশী দেশ ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩০২ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৭৬ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার ৫০৭ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ১২ হাজার ৯৫৪ জন।
যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৬৫৬ জন এবং মারা গেছেন ১৬৪ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮৭ লাখ ৩৪ হাজার ৬৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬০ হাজার ৯৭৯ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ইউক্রেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৬২ জন এবং মারা গেছেন ২৯৭ জন।