ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। যেখানে মহান আল্লাহতায়ালা মানব জাতীর সব সমস্যার সমাধান দিয়েছেন। ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতিসহ সকল কিছুর সমাধান রয়েছে এখানে। সৃষ্টিকুল কিভাবে পরিচালিত হবে, কিসে তাদের কল্যাণ তা স্রষ্টার চেয়ে বেশি কেউ জানে না। বিশ্ব পরিচালক মহান স্রষ্টা পৃথিবীর মানব ম-লীকে জানিয়ে দিলেন। নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট মনোনীত জীবনব্যবস্থা হলো একমাত্র ইসলাম।-সুরা : আল ইমরান : ১৯
আল্লাহর নিকট যে আত্মসমর্পণ করেছে সে মুসলমান হয়েছে এবং তিনি আল্লাহর দ্বীনের মধ্যে প্রবেশ করেছে। দ্বীন অর্থ জীবনব্যবস্থা, আল্লাহর মনোনীত জীবনব্যবস্থাটির নাম হলো ইসলাম। আল্লাহপাক সুবহানাহু ওয়াতায়ালা বলেছেন : আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের (দ্বীন) জীবনব্যবস্থাকে পরিপূর্ণ করে দিলাম।- সুরা মায়েদা : ৩
মানুষ সৃষ্টির শুরু থেকে শান্তির হাজারও পরিকল্পনা করেছে। তৈরি করেছে বহু মত ও পথ। এক একটি মতবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ধ্বংস হয়েছে হাজারও জনপদ। হত্যা করেছে লাখ লাখ বনি আদম। কিন্তু তার পরেও তারা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। পারেনি মানুষের মৌলিক কোনো অধিকার আদায় করতে। ফিরিয়ে দিতে পারেনি বঞ্চিত মানবতার সামান্য অধিকার। উল্টো মতবাদ প্রতিষ্ঠাকারীরা লুটে নিয়েছে মানুষের সম্পদ, অধিকার। সাধারণ জনগণের ওপর চালিয়েছে জুলুম, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ ইত্যাদি।
আল্লাহ মানুষকে দিয়েছেন সৃষ্টির সেরা জীবের মর্যাদা। অর্থাৎ আশরাফুল মাখলুকাত। দিয়েছেন বিবেক বুদ্ধির ন্যায় অমূল্য সম্পদ। যার সাহায্যে তারা প্রতিষ্ঠা করবে পৃথিবীতে আল্লাহর খেলাফত তথা কুরআনের রাজ। যার জন্য মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।
মহান আল্লাহ মানব সৃষ্টির পূর্বে ফেরেশতাদের ডেকে বললেন আমি ধরাপৃষ্ঠে, আমার জমিনে তথা পৃথিবীতে খলিফা প্রেরণ করতে যাচ্ছি। তখন ফেরাশতারা বললেন হে প্রভু! এমন জাতি কেন সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন, যারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। মহান আল্লাহ তাদের বললেন, আমি যা জানি তোমরা তা জান না।- সুরা বাকারা : ৩০
সুতারাং আল্লাহর রাজত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য মানব সৃষ্টির উৎস। কারণ জৈবিক শক্তি এবং নৈতিক শক্তি দিয়ে মানুষকে করেছেন নৈতিকতা বোধ সম্পন্ন বিবেকবান শ্রেষ্ঠজীব। এই শ্রেষ্ঠ মানুষরাই প্রতিষ্ঠা করবে পৃথিবীর বুকে আল্লাহর মনোনীত জীবনব্যবস্থা আল ইসলাম। আল্লাহর মনোনীত দ্বীন তথা ইসলাম মানব মন্ডলীর জন্য এক বিরাট নেয়ামত। সর্বত্র প্রতিষ্ঠা হলে পৃথিবীটা হবে শান্তি দায়ক, জান্নাতের টুকরা।