মাহামুদ হাসান :
প্রশ্নপত্র স্টীলের আলমিরায় তালাবদ্ধ করে রেখে প্রধানশিক্ষক গিয়েছিলেন একটি শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে। তাই উন্মূক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে নির্ধারিত সময়ের সোয়া এক ঘন্টা পর। প্রধানশিক্ষকের এহেন কান্ডজ্ঞানহীন কর্মকান্ডে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি সচেতনমহলের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার জেলার বানারীপাড়া মডেল ইউনিয়ন ইনষ্টিটিউশন (পাইলট) স্কুল কেন্দ্রে। পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী শুক্রবার দুপুর দুইটায় তাদের শারিরীক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথাছিলো। সেমতে তারা কেন্দ্রে এসে জানতে পারেন বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ও কেন্দ্র সুপার কৃষ্ণ কান্ত হাওলাদার পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলায় একটি শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে গেছেন।
তিনি (প্রধানশিক্ষক) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিদ্যালয়ে তার কক্ষের স্টীলের আলমিরায় তালাবদ্ধ করে রেখেছেন। ফলে ৪৮ জন পরীক্ষার্থী প্রশ্নের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। বিষয়টি জানতে পেরে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্য ও শিক্ষকরা একাধিকবার প্রধানশিক্ষকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি ভোজে ব্যস্ত থাকায় ফোন রিসিভ করেননি। প্রায় সোয়া এক ঘন্টা পরে বিকেল সোয়া তিনটার দিকে প্রধানশিক্ষক স্কুলে এসে আলমিরা থেকে প্রশ্নপত্র বের করে দেয়ার পরে পরীক্ষা শুরু করা হয়।
সূত্রমতে, পাশবর্তী উপজেলার কেন্দ্রগুলোতে দুপুর দুইটায় একই প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় বহু নির্বাচনী ও সৃজনশীল প্রশ্ন মোবাইলফোনে মাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। এ ব্যাপারে উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের বরিশালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ শামীম জানান, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. আসাদুজ্জামান উকিল বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরদিকে অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষক কৃষ্ণ কান্ত হাওলাদার এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্ন সংবাদকর্মীদের ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় নেমেছেন।