28 C
Dhaka
নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অপরাধ গণমাধ্যম প্রচ্ছদ

ফেসবুকে ভাইরাল হবিগঞ্জের কিশোরীকে গণধর্ষণে নারী মেম্বারের ছেলে

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়ে হাওরের বুকে পড়ে থাকা সেই কিশোরীর মরদেহের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বিউটি আক্তার (১৬) নামে ওই কিশোরীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনায় জড়িত উপজেলার ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য কলম চান বিবির ছেলে বাবুল।

এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে কলম চান বিবিকে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এবং বাবুলের বন্ধু ইসমাইল মিয়াকে অলিপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ধর্ষণের মূল হোতা বাবুল পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ মার্চ বিউটি আক্তার নামে ওই কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বিউটির বাবা হবিগঞ্জ আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। বিউটি আক্তার উপজেলার ব্রাহ্মণডুরা এলাকার সায়েদ আলীর মেয়ে।

মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেন, স্থানীয় মোজাহের উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিউটি আক্তারকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো নারী মেম্বারের ছেলে বাবুল মিয়া। একপর্যায়ে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২১ জানুয়ারি বাবুল তাকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে গত ৪ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা করা হয়।

নির্যাতিত কিশোরীর বাবার ভাষ্য, এ ঘটনার পর বিউটিকে লাখাই উপজেলার গুনিপুর গ্রামে তার নানার বাড়িতে রেখে আসি। ১৬ মার্চ রাত ১২টার দিকে টয়লেটে গিয়ে আর ঘরে ফিরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরদিন ১৭ মার্চ গুনিপুর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে হাওরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায় পুলিশ।

এ ঘটনায় ১৮ মার্চ কিশোরীর বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে একই গ্রামের বাবুল মিয়া (৩২) ও তার মা ইউপি সদস্য কলম চান বিবিকে (৪৫) আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় আরেকটি মামলা করেন।

এরপর অভিযান চালিয়ে কলম চান বিবিকে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এবং বাবুলের বন্ধু ইসমাইল মিয়াকে অলিপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলার বাদী সায়েদ আলী বলেন, পুলিশ বলছে, প্রধান আসামিকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একজন এজাহার নামীয় ২ নম্বর আসামি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথম মামলার পর ধর্ষকদের বিচার না হওয়ায় নানার বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় ধর্ষকরা। পরে তাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে ক্ষতবিক্ষত মরদেহ হাওরের বুকে ফেলে যায়। বিচার চাইতে গিয়ে এমন পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ধর্ষকদের হাতে খুন হয় বিউটি।

শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্মান জানানোয় গোটা জাতি আনন্দিত

banglarmukh official

ধ্বংসাত্মক মানসিকতার কারণে সভ্যতা গুরুতর ঝুঁকির মুখে: ড. ইউনূস

banglarmukh official

উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ানোর কারণ জানালেন রিজওয়ানা

banglarmukh official

সেই মুনতাহার লাশ মিলল নিজ বাড়ির পুকুরে

banglarmukh official

আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, যা খতিয়ে দেখতে বললেন রাষ্ট্রদূত আনসারী

banglarmukh official

আমরা একে অপরের ভাই, কেন দ্বন্দ্বে জড়াবো: আদালতে আমু

banglarmukh official