বরগুনার বামনায় রিকশার গ্যারেজে আটকে রেখে দুই সহোদর কিশোরকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। আহত অবস্থায় তারা বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় সেলিম হোসেন নামে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বশিরুল আলম।
গ্রেফতার সেলিম খুলনার খালিশপুরের শেখ ওমর আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি রামনা ইউনিয়নে শ্বশুর বাড়িতে থাকেন। নির্যাতনের শিকার দুই কিশোর শের-ই বাংলা সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বলে, ‘মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর আগে আমার স্কুল ব্যাগে ঘুষি মারে এক সহপাঠী। এ সময় ব্যাগে থাকা আমার একটি মোবাইল ফোন ভেঙে যায়। এর বিচার চাইতে ওইদিন স্কুল ছুটির পর সহপাঠীর বাবা সেলিম হোসেনের দোকানে যাই। এ নিয়ে তর্কের একপর্যায়ে সহপাঠীর বাবা ও তার মামা আরাফাত আমাকে চড় থাপ্পড় মারতে থাকেন।
ঘটনাটি শুনে আমার বড়ভাইও সেখানে যায়। সহপাঠীর বাবা ও মামা আমাদের রিকশার গ্যারেজে আটকে রেখে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু হানিফ আমাদের ছাড়িয়ে আনেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক আবু হানিফ বলেন, মারধরের খবর শুনে গিয়ে দেখতে পাই ওদের দুজনকে গ্যারেজে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। পরে আমি তাদের কাছ থেকে দুই শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে আনি।
এ বিষয়ে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বশিরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে অভিযুক্ত সেলিম হোসেনকে আটক করি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দুই কিশোরের নানা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় সেলিম হোসেনকে গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছি। মামলার অন্য আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।