35 C
Dhaka
এপ্রিল ২৩, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
ইসলাম ধর্ম প্রচ্ছদ

বড় পীর আবদুল কাদের জিলানীর মায়ের আদেশ ও স্মরণীয় বাণী সমূহ

সন্তানের ওপর মায়ের প্রভাবই থাকে সবচেয়ে বেশি। যে কারণে সন্তান যাতে সুসন্তান হয়ে গড়ে ওঠে তা একমাত্র মায়ের পক্ষেই নিশ্চিত করা সম্ভব। মুসলিম বিশ্বের অন্যতম বুজুর্গ হিসেবে হজরত আবদুল কাদের জিলানীর গড়ে ওঠার পেছনে মায়ের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। বলা হয়, হজরত আবদুল কাদের জিলানী (র.) যখন মাতৃগর্ভে ছিলেন, তখন তাঁর পুণ্যময়ী জননী কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করতেন। মাতৃগর্ভে থাকা শিশু তা মুখস্থ করে ফেলতেন। এভাবে জিলানী (র.) মায়ের গর্ভে থাকাবস্থায় পবিত্র কোরআন শরিফের একটা বড় অংশ মুখস্থ করে ফেলেন। জন্মের পরই তাঁর বাবা ইন্তেকাল করেন।

তাঁর পুণ্যময়ী মা-ই তাকে লালন-পালন এবং প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করেন। সে শিক্ষার কারণেই পরবর্তী জীবনে উন্নতি সাধনে সক্ষম হন। মমতাময়ী জননী তাঁকে সদা সত্য কথা বলতে শিখিয়েছেন। উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য মা তাকে বাগদাদের উদ্দেশে পাঠান। তখন তাঁর জামার পকেটের নিচে ৪০টি স্বর্ণ মুদ্রা ভরে দিয়েছিলেন। কিশোর জিলানী (র.) এক যাত্রীদলের সঙ্গে বাগদাদে রওনা হলেন। পথিমধ্যে যাত্রীদের কাফেলা ডাকাত দলের দ্বারা আক্রান্ত হয়। ডাকাতরা যাত্রীদের কাছ থেকে মালামাল লুটে নেয়। অল্প বয়সের বালক হজরত আবদুল কাদের জিলানী (র.)-কে কিছু বলল না ডাকাত দল। একজন ডাকাত কৌতূহলবশত তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, হে বালক! তোমার কাছে কী আছে? উত্তরে তিনি বললেন, আমার কাছে ৪০টি স্বর্ণ মুদ্রা আছে।

এই দেখ আমার জামার ভিতরে সেলাই করা আছে। তোমরা সেগুলো নিয়ে যাও। সে ডাকাত হজরত আবদুল কাদের জিলানী (র.)-কে তাদের সরদারের কাছে নিয়ে যায়। সরদার মুদ্রাগুলো বের করে হাতে নিয়ে বলল, হে বালক, তুমি যদি না বলতে তবে আমরা তোমার এ স্বর্ণ মুদ্রার খবর জানতাম না। তুমি কেন স্বর্ণ মুদ্রার কথা বললে। হজরত আবদুল কাদের জিলানী (র.) বললেন, আমার মা আমাকে মিথ্যা বলতে নিষেধ করেছেন। মায়ের কারণেই জগদ্বিখ্যাত বুজুর্গ হতে পেরেছিলেন তিনি।

বাণীসমূহ : — একদল অজ্ঞ, মূর্খ এবং ভণ্ডপীর, ভণ্ডদরবেশ বলে বেড়ায় যে, ইলমে শরিয়ত এবং ইলমে তরিকত দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। এর একটির সঙ্গে অন্যটির কোনো সম্পর্ক নেই। এমন কি এরা মনে করে পরস্পরের সম্পর্কের কোনো প্রয়োজনও নেই। তারা শরিয়তের প্রয়োজনীয়তার ওপর তেমন গুরুত্ব দেয় না। শরিয়তকে তারা সব সময় অবজ্ঞা করে চলে। বলে বেড়ায়, আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য একমাত্র উপায় ইলমে তরিকতের অনুসারী হওয়া। তাদের প্রচারের ভাব-ভঙ্গিতে সাধারণ লোক মনে করে যে, তারা না জানি ইলমে তরিকত সম্পর্কে কত বিজ্ঞ। মূলত এরা সে সম্পর্কে কোনোই জ্ঞান রাখে না। তাদের এ কথা যে তাদের অজ্ঞতা ও মূর্খতা বৈ কিছুই নয়।

— নিজের কল্যাণের স্বার্থে এবং আজাব থেকে রেহাই পেতে যথাসম্ভব কম কথা বল। তুমি তোমার আমলনামার পাতাগুলো আড্ডাবাজি দিয়ে পূর্ণ কর না। কেন না, চূড়ান্ত হিসাব-নিকাশের দিনে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে তা হলো তোমার জীবনে আল্লাহকে স্মরণ করার মুহূর্তগুলো।

— আপনার বলা কথাগুলোই প্রকাশ করে দিবে আপনার অন্তরের গভীরে কী আছে।

— যখন কোনো বান্দা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, তা আসলে কেবল মুখে উচ্চারিত কোনো বিষয় থাকে না, বরং আল্লাহর করুণা ও রহমত প্রাপ্তির কৃতজ্ঞতা স্বীকার অন্তর থেকেও করা হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়

banglarmukh official

বরিশালে দুর্ঘটনায় নিহত ২

banglarmukh official

পাকিস্তানে ট্রেনে জিম্মি দেড় শতাধিক যাত্রী উদ্ধার, ২৭ সন্ত্রাসী নিহত

banglarmukh official

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেন হাইজ্যাক, জিম্মি শতাধিক

banglarmukh official