কুড়িগ্রামে স্থানীয় এক সাংবাদিককে মাদক রাখার অভিযোগে গভীর রাতে তুলে নিয়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের সমালোচনা করে সংবাদ প্রকাশের ১০ মাস পর এ ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শুক্রবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগান। তিনি বাংলা ট্রিবিউন-এর কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি। জেলা শহরের চড়ুয়াপাড়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন আরিফুল।
গত বছরের ১৯ মে ‘কাবিখা’র টাকায় পুকুর সংস্কার করে ডিসি’র নামে নামকরণ!’ শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউনে একটি প্রতিবেদন করেন তিনি। প্রতিবেদনে বলা হয়, শহরের একটি সরকারি পুকুর সংস্কারের পর জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন নিজের নামানুসারে ‘সুলতানা সরোবর’ নামকরণ করতে চেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেই নামকরণ আর করা হয়নি।
আরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার নিতু বলেন, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে আইনশৃংখলা বাহিনীর একটি দল তাদের বাড়ি গিয়ে দরজায় ধাক্কা দিতে থাকে। অনেকক্ষণ ধাক্কাধাক্কির পর তিনি দরজা খুলে দেন।
তিনি বলেন, এরপর ১৪ থেকে ১৫ জন লোক ঘরে ঢুকে তার স্বামীকে মারধর ও টানা-হেঁচড়া করে। পরে মারতে মারতে আরিফুলকে বের করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ, আনসার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি বলেন, ‘এই অভিযানের সময় তার বাড়ি থেকে ৪৫০ এমএল দেশি মদ ও ১০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে আরিফুল ইসলাম রিগানকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে দোষ স্বীকার করায় তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’