মানুষের লোভের আগুনে পুড়ে আর যেন নিরীহ প্রাণের মৃত্যু না ঘটে, দেশের ভবন মালিকদের জন্য এমন সতর্ক বার্তা দিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভবনটি ‘নির্মাণ বিধি (বিল্ডিং কোড)’ অনুসরণ করে নির্মিত নয়। অনুমোদনবিহীন বেশিতলা নির্মিত এ ভবনে বিধি অনুযায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও ছিলো না। অর্থাৎ মালিকের লোভের আগুনে পুড়ে হতাহত হয়েছেন নিরীহ মানুষ। এর পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।
আজ শুক্রবার বনানীর এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমিতে ওয়ার্ল্ড কমিউনিকেটরস কাউন্সিল (ডব্লিউসিসি)-বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের জন্য গভীর শোক ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। একইসঙ্গে এই দুর্ঘটনার কারণ ও পুনরাবৃত্তি রোধের দিকে দৃষ্টিপাত করেন তিনি।
এ ছাড়াও ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নিজ দেশ, সংস্থা ও আত্মউন্নয়নের জন্য যোগাযোগের বিকল্প নেই। তৈরি পোশাক শিল্পে জিএসপি সুবিধা বাতিলের পরও বাংলাদেশ বিশ্বপ্রতিযোগিতায় এ শিল্পে তার প্রবৃদ্ধি অটুট রেখেছে, চীন আজ আমাদের প্রতিযোগী। এর মূল কারণ দুইটি- একটি আমাদের উৎপাদন দক্ষতা, অপরটি আমাদের বায়িং হাউজগুলোর যোগাযোগ দক্ষতা। অর্থাৎ শুধু উৎপাদন দক্ষতা থাকলেই হবে না, প্রয়োজন যোগাযোগে দক্ষতাও।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে আজ প্রায় দুই হাজার ডলার। উচ্চ প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত রাখা পৃথিবীর প্রথম পাঁচটি দেশের অন্যতম বাংলাদেশ। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল, প্রায় ১৭ কোটি মানুষের দেশ যেখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১১শ’রও বেশি মানুষের বাস, আর মানুষ প্রতি জমির পরিমাণ দেশে সর্বনিন্ম, যে দেশ পঞ্চাশের দশক থেকেই খাদ্য ঘাটতির দেশ, সেই বাংলাদেশ আজ খাদ্য রপ্তানির দেশ।
তিনি আরো বলেন, দেশের এই অভূতপূর্ব উন্নয়নে যোগাযোগকর্মীসহ সবার ভূমিকা রয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই দেশকে সমৃদ্ধতর করে। বিশ্বব্যাপী উন্নয়নখাতে বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা আগে থেকে এখন অনেক সক্রিয়। কূটনৈতিক তৎপরতাও এখন অর্থনীতিমুখী।