সবশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০২০ সালের জুলাইয়ে, ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এরপর ২৪ ইনিংস খেলে নেই আর কোনো সেঞ্চুরি, ফিফটি করেছেন মাত্র পাঁচটি। প্রায় পৌনে দুই বছর পর ফের ক্যারিবীয়দের বিপক্ষেই সেঞ্চুরি তুলে নিলেন সময়ের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস।
বৃহস্পতিবার বার্বাডোজ টেস্টের দ্বিতীয় দিন ক্যারিবীয় বোলারদের ওপর রীতিমতো ঝড় চালিয়েছেন বেন স্টোকস। মনে হচ্ছিল এক সেশনেই সেঞ্চুরি তুলে নেবেন তিনি। তা হয়নি। দিনের প্রথম সেশন শেষে স্টোকসের নামের পাশে ছিল ৮৯ রান। তবে তার ব্যাটে ভর করেই রান পাহাড়ে চড়েছে ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ১ উইকেটে ৭১ রান। এর আগে ৯ উইকেটে ৫০৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। ফলে প্রথম ইনিংসে এখনও ৪৩৬ রানে পিছিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলোঅন এড়াতে তাদের করতে হবে আরও ২৩৭ রান।
আগের দিন ৩ উইকেটে ২৪৪ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। বৃহস্পতিবার চতুর্থ উইকেটে ১২৯ রান যোগ করেন অধিনায়ক জো রুট ও স্টোকস। যেখানে রুটের অবদান মাত্র ৩৪ রান। সিংহভাগ রানই করেন স্টোকস। তবে তার শুরুটা ছিল রয়েসয়ে। একপর্যায়ে ৫৯ বলে তার সংগ্রহ ছিল ২৮ রান।
সেখান থেকে ক্যারিবীয় বোলারদের তুলোধুনো করতে শুরু করেন স্টোকস। একের পর এক চার-ছয়ের মারে ৭৩ বলে পূরণ করেন নিজের ফিফটি। সেখান থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে খেলেন মাত্র ৪১ বল। স্টোকসের সেঞ্চুরির আগেই অবশ্য ব্যক্তিগত ১৫৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান রুট।
স্টোকস নিজেও সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ক্যারিবীয় অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের বলে পরপর দুই ছক্কা হাঁকানোর পর তৃতীয় ছক্কার চেষ্টায় লং অফে ধরা পড়ে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে ১১ চার ও ৬ ছয়ের মারে ১২০ রানের ইনিংস খেলেন স্টোকস।
এই ইনিংসের মাধ্যমে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৫ হাজার রান পূরণ হয়েছে স্টোকসের। বিশ্বের মাত্র পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ৫ হাজার রান ও ১৫০ উইকেটের ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়ে মোট ৮৯ ছক্কা নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কার তালিকায় ছয়ে উঠে এসেছেন স্টোকস।
শেষ দিকে বেন ফোকস ৩৩ ও ক্রিস ওকস ৪১ রানের ইনিংস খেললে ৫০৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে বাঁহাতি স্পিনার ভেরাসামি পারমল নিয়েছেন ৩টি উইকেট। এছাড়া কেমার রোচের শিকার ২ উইকেট।
পরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জন ক্যাম্পবেলের উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অভিষিক্ত ম্যাথু ফিশার নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বলেই তুলে নেন প্রথম উইকেট। এরপর আর বিপদ ঘটতে দেননি ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ও শামার ব্রুকস। ব্রাথওয়েট ৭৯ বলে ২৮ ও ব্রুকস ৮৩ বলে ৩১ রানে অপরাজিত রয়েছেন।