33 C
Dhaka
এপ্রিল ২৪, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
প্রশাসন

এএসপি আনিসুল হত্যা মামলায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ। গত ৯ মার্চ ঢাকার আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদাবর থানার পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

শুক্রবার (১১ মার্চ) সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) শরিফুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল মামুন।

২০২০ সালের ৯ নভেম্বর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আনিসুল করিম শিপন রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। ওইসময় হাসপাতালে তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।

এ ঘটনায় ১০ নভেম্বর আদাবর থানায় আনিসুল করিম শিপনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে { হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- মো. সাখাওয়াত হোসেন ও সাজ্জাদ আমিন।

এ মামলার আসামি মাইন্ড এইড হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, পরিচালক ফাতেমা খাতুন ময়না, মুহাম্মাদ নিয়াজ মার্শেদ, কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন সেফ মো. মাসুদ, ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, ফার্মাসিস্ট মো. তানভীর হাসান, ওয়ার্ড বয় মো. তানিম মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, মো. লিটন আহাম্মদ, মো. সাইফুল ইসলাম পলাশ কারাগারে আছেন।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার { মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জামিনেআছেন। এদিকে এ মামলায় আসামি কিচেন সেফ মাসুদ খান, ওয়ার্ড বয় অসীম চন্দ্র পাল, মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, সজিব চৌধুরী, হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট মো. তানভীর হাসান ও ওয়ার্ড বয় মো. তানিম মোল্লা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়, মো. আনিসুল করিমকে চিকিৎসার জন্য ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুরে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেলা পৌনে ১২টার দিকে আরিফ মাহমুদ জয় আনিসুলকে ওয়াশরুমে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হাসপাতালের দোতলায় নিয়ে যান। তখন তার বোন কথা বলতে চাইলে আসামি আরিফ মাহমুদ জয় ও রেদোয়ান সাব্বির বাধা দেন এবং কলাপসিবল গেট আটকে দেন। এরপর এজাহারে উল্লেখিতসহ আরও অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মো. আনিসুল করিমকে চিকিৎসার নামে দোতলার একটি অবজারভেশন রুমে (বিশেষভাবে তৈরি কক্ষ) নিয়ে যান।

আসামিরা এএসপি আনিসুলকে রুমের ফ্লোরে জোরপূর্বক উপুড় করে শুইয়ে ৩/৪ জন হাঁটু দ্বারা পিঠের উপর চেপে বসেন। এ সময় কয়েকজন তাকে পিঠ মোড়া করে ওড়না দিয়ে দুই হাত বাঁধেন। কয়েকজন আসামি কনুই দিয়ে আনিসুলের ঘাড়ের পেছনে ও মাথায় আঘাত করেন। একজন মাথার ওপরে চেপে বসেন এবং আসামিরা সবাই মিলে তার পিঠ, ঘাড় সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কিল ঘুষি মারেন। এরপর বেলা ১২টার দিকে আনিসুল নিস্তেজ হয়ে পড়েন। যা হাসপাতালে স্থাপিত সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে দৃশ্যমান। নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার পর আসামি আরিফ মাহমুদ জয় নিচে এসে পরিবারের সদস্যদের ইশারায় ওপরে যাওয়ার জন্য ডাক দেন। এরপর তার বাবা, ভাই ও বোন অবজারভেশন রুমে গিয়ে আনিসুলকে ফ্লোরে নিস্তেজ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান। অতঃপর তাকে জরুরি ভিত্তিতে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে এএসপি আনিসুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

রমজানে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে বরিশাল

banglarmukh official

ডেভিল হান্টে গ্রেফতার আরও ৬৭৮

banglarmukh official

দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনা সদস্যদের যে বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান

banglarmukh official

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাছে ম্যাজিক নাই: আইজিপি

banglarmukh official

১২ পুলিশ সুপারকে বদলি

banglarmukh official

মামলা বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে এসআই প্রত্যাহার

banglarmukh official