প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত নীতি ও কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ জঙ্গি-ঝুঁকিমুক্ত। এ বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বিশ্বে বাংলাদেশকে রোল মডেলে পরিণত করেছে— মন্তব্য করেছেন র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
সোমবার (২৮ মার্চ) সকালে ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুর্মিটোলা র্যাব সদর দপ্তরের শহীদ লে. কর্নেল আজাদ মেমোরিয়াল হলে সভাপতির বক্তব্যে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব চরমপন্থী, জঙ্গিবাদ, জলদস্যু ও সন্ত্রাস দমন, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার এবং চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের আসামি গ্রেপ্তারসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ঈর্ষণীয় ভূমিকা রাখছে। র্যাব জল, স্থল ও আকাশে অভিযান পরিচালনার সক্ষমতা-সম্পন্ন একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
‘একটা সময় ছিল যখন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল রক্তাক্ত করেছিল চরমপন্থীরা। র্যাব সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চরমপন্থীদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করেছে। দেশে একটি গোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় জঙ্গিবাদের বীজ বপন করা হয়েছিল। তারা এ দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চেয়েছিল। ২১ আগস্ট ওই একই গোষ্ঠীর মদদে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। র্যাব হামলা-বাস্তবায়নকারীদের গ্রেনেডসহ গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, আমরা সুন্দরবন জলদস্যুমুক্ত করেছি। প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আলোকে দেশকে মাদকমুক্ত করে মাদকাসক্তদের আলোর মুখ দেখাতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ অঞ্চলের প্রতিটি মানুষ আজ শান্তিতে বসবাস করছেন। সুন্দরবন অঞ্চলে পর্যটনশিল্প বিকশিত হচ্ছে। আত্মসমর্পণ করা ৩২৮ জলদস্যু পুনর্বাসিত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন ও বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।