বরিশাল-ভোলার সিমান্তবর্তী একটি চরের তরমুজ ক্ষেতে পাওয়া সাড়ে ১৪ মন (৫৮০ কেজি) ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ এসেছে বরিশালের পাইকারী মাছ বাজারে।
বরিশালের ১০ জন পাইকরী ব্যবসায়ী ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় আস্ত মাছটি কিনে বরিশালের পোর্ট রোড মোকামে নিয়ে এসেছেন খুচরা বিক্রির উদ্দেশ্যে। বুধবার (২৯ মার্চ) ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রির ঘোষনা দিয়ে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় ভ্যানে নগরময় বিশালাকৃতির মাছটি প্রদর্শন করেন ব্যবসায়ীরা। সাড়ে ১৪ মন ওজনের বিশাল শাপলাপাতা মাছ পাওয়ার খবরে পোর্ট রোড মাছ বাজারে ভিড় করেন ক্রেতারা।
সংশ্লিস্টরা জানান, গত ৩দিন ধরে বৃষ্টির কারনে নদীতে জোয়ারের সময় ভোলার বিভিন্ন চরের তরমুজ ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায়। ভাটায় পানি নেমে যাওয়ার পর তরমুজ রক্ষায় চাষিরা ক্ষেতে গেলে বিশালাকৃতির একটি শাপালাপাতা মাছ দেখতে পায়। তাদের মতে- বর্ষায় কালাবদর নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে শাপলাপাতা মাছটি ভেসে নদী তীরবর্তী চরের তরমুজ ক্ষেত্রে প্রবেশ করে। পানি কমে গেলে মাছটি ক্ষেতের মধ্যে আটকা পড়ে।
মঙ্গলবার বিকেলে তারা শাপলাপাতা মাছটি স্পীডবোটে বরিশালের পোর্ট রোড মাছের আড়তে নিয়ে আসেন। তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় (৩৭০ টাকা কেজি দরে) মাছটি কিনে নেন পোর্ট রোডের ১০ জন ব্যবসায়ী। এরপর তারা ভ্যানে সন্ধ্যার পর নগরময় মাছটি প্রদর্শন এবং মাইকিং করেন। বুধবার মাছটি পোর্ট রোড বাজারে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার কথা জানিয়েছেন মাছ ব্যবসায়ী লাল চাঁদ।
এতে স্থানীয় জনসাধারনের মাধ্য সৃস্টি হয়েছে আগ্রহের। অনেকে রাতেই পোর্ট রোড আড়তে গিয়ে মাছটি কেনার আগাম আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মাছটি বিক্রির জন্য কেটে টুকরা করা হয় বলে জানিয়েছেন আরেক মাছ ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন। এত বড় শাপলাপাতা মাছ সাম্প্রতিক সময়ে পোর্ট রোড আড়তে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।