বরিশাল সদর উপজেলার ৭ নং চরকাউয়া ইউনিয়নের ৭/৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মোসাঃ শিল্পী বেগমের বসত ঘরে ঢুকে হামলা এবং ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয়েছে।এই ঘটনায় বরিশাল বন্দর থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। ১৭ ই মার্চ বরিশাল বন্দর থানায় ইউপি সদস্য শিল্পী বেগম বাদি হয়ে এজাহার দায়ের করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বরিশাল সদর উপজেলা, ৭নং চরকাউয়া ইউনিয়নের ৭/৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মোসাঃ শিল্পী বেগম এর স্বামী ও বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ ৭নং চরকাউয়া ইউনিয়ন শাখার প্রচার সম্পাদক আঃ রহিম খান এর সাথে একই এলাকার হুমায়ূন সিকদার (ওরফ ভূমিদস্যু হুমায়ূন) গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় ভূমিদস্যু হুমায়ূন সিকদার (৪০) হাসিব সিকদার (২৫) লাভলু সিকদার (৩৫) কাইউম সিকদার (২৮) রবিন মোল্লা (২৪) পলাশ সিকদার (৩০) সুজন সিকদার (২৫) সহ আরো ১৫/২০জন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ১৭/০৩/২৩ তারিখ রোজ শুক্রবার সকাল ১১ঘটিকার দিকে ইউপি সদস্য মোসাঃ শিল্পী বেগম ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে হুমায়ূন সিকদার ও হাসিব সিকদার এর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র সস্র নিয়ে আঃ রহিম খান এর পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের জন্য পিলার স্হাপন করতে আসে এসময় ইউপি সদস্য মোসাঃ শিল্পী বেগম এর বড় ছেলে ইমরান খান (২৪) এর সাথে তাদের কথার বাক-বিতণ্ডা হয়। এসময় ভূমিদস্যু হুমায়ূন সিকদার ও লাভলু সিকদার ইউপি সদস্য মোসাঃ শিল্পী বেগম এর বড় ছেলে ইমরান খান কে লাথি ঘুসি শুরু করে তাদের সাথে থাকা দেশীয় অস্ত্র রড ষ্টীল পাইপ হকিস্টিক ক্রিকেট স্টাম্প কাঠের রুয়া দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন, হাসিব সিকদার, কাইউম সিকদার, পলাশ সিকদার, সুজন সিকদার ও রবিন মোল্লা সহ আরো ১৫/২০জন ইউপি সদস্য মোসাঃ শিল্পী বেগম এর বসত ঘর ঘটনা স্থলের কাছে হওয়ায় ইমরান খান এর ডাক চিৎকার শুনতে পেয়ে ইউপি সদস্য মোসাঃ শিল্পী বেগম তার স্বামী আঃ রহিম খান ও মেয়ে হামিদা খাতুন ইমরান খান কে রক্ষা করতে সেখানে দৌড়ে যায়, ভূমিদস্যুরা তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র সস্র দিয়ে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে তাদের ডাক চিৎকার শুনে আসে পাশের লোকজন এসে তাদের ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করে এবং সেখানে উপস্থিত থাকা সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ ইউপি সদস্য মোসাঃ শিল্পী বেগম কে স্হানীয় শালিসির মাধ্যমে এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাদের বসত ঘরে পাঠিয়েদেন কিছুসময় পরেই ভূমিদস্যু হুমায়ূন সিকদার হাসিব সিকদার লাভলু সিকদার কাইউম সিকদার পলাশ সিকদার সুজন সিকদার রবিন মোল্লা সহ আরো ১৫/২০জন দেশীয় অস্ত্র সস্র নিয়ে ইউপি সদস্য মোসাঃ শিল্পী বেগম এর বসত ঘরে প্রবেশ করে পূণরায় তাদের মারধর করে ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাব পত্র ভাংচুর করতে থাকে। ইউপি সদস্য শিল্পী বেগম (৪০) ও তার মেয়ে হামিদা খাতুন (২০) কে লাথি ঘুসি দিতে থাকে তাদের পোশাক নিয়ে টানাহেঁচড়া ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে তাদের ডাক চিৎকারে আসে পাশের লোকজন ছুটে আসতে দেখে ভূমিদস্যু শুকেজের মধ্যে থাকা ব্যাগে আট লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও প্রায় পাঁচ ভরি পরিমাণ স্বর্ণ নিয়ে ইউপি সদস্য ও তার মেয়ে হামিদা খাতুন কে বিভিন্ন অকত্য বিচ্ছিরি ভাষায় গালিগালাজ করেন ও তাদের বিষয় আইনগত কোন ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করলে দর্শন ও ক্ষুন করার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্হানীয় লোকজন ইউপি সদস্য ও তার পরিবারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিল্পী বেগম এর ছেলে ইমরান খান (২৪) মেয়ে হামিদা খাতুন (২০) এর অবস্থা গুরুতর দেখে তাৎক্ষণিক ভর্তি দেন এবং ইউপি সদস্য মোসাঃ শিল্পী বেগম তার স্বামী আঃ রহিম খান ছোট ছেলে আরমান খাঁন ভাতিজা জাকারিয়া খান কে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রধান করে।