শেখ সুমন :
পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক হিসেবে মন্ত্রীর পদমর্যাদা লাভ করায় বাবুগঞ্জে সাবেক চীফ হুইপ ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ এমপিকে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল বিমানবন্দরে তাকে বরিশাল জেলা, মহানগর ও বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ওই গণসংবর্ধনা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি। বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য সাবেক উপমন্ত্রী ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি, বরিশাল-২ আসনের এমপি অ্যাড. তালুকদার মোঃ ইউনুস, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম খালেদ হোসেন স্বপন ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. মুনসুর আহমেদ।
এসময় বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী ইমদাদুল হক দুলাল, বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা, পটুয়াখালী সদরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. সুলতান আহমেদ মৃধাসহ বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক ছাড়াও বরিশালের ১০ উপজেলার সকল চেয়ারম্যান এবং পৌর মেয়রসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দক্ষিণবঙ্গ হবে এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর। চার লেনের মহাসড়ক, সেতু, গ্যাস আর বিদ্যুৎ দিয়ে বরিশালকে ঢেলে সাজানো হবে। আওয়ামী লীগ কথায় নয়, কাজে বিশ্বাস করে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ এর জ্বলন্ত উদাহরণ। দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। এসময় বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদানের কথা থাকলেও সম্প্রতি নেপালে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার শোক জানিয়ে তিনি ফুল বর্জনসহ ওই গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করেন এবং নিহতদের স্মরণে অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
মন্ত্রীর পদমর্যাদা লাভের পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় তিনি ঢাকা থেকে ইউএস-বাংলার একটি বিমানে বরিশাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে কিছুক্ষণ অবস্থানের পরে তিনি সমাবেশ স্থলে আসেন। এসময় বরিশাল বিমানবন্দর এলাকায় গোটা দক্ষিণাঞ্চলের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর ঢল নামে।