নিউজ ডেস্ক:
কালরাতের প্রথম প্রহর স্মরণ করে গণহত্যা দিবসে (২৫ মার্চ) এক মিনিট প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন ও মাইকে নাম ঘোষণা না করায় মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন জয়পুরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় জয়পুরহাট জেলা স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠান থেকে চলে যান তারা। গণহত্যা দিবসে (২৫ মার্চ) ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন ও দীর্ঘক্ষণ অনুষ্ঠানস্থলে বসে থাকলেও মাইকে নাম ঘোষণা না করায় এ অনুষ্ঠান বর্জন করেন তারা।
জানা যায়, কালরাতের প্রথম প্রহর স্মরণ করে গণহত্যা দিবসে (২৫ মার্চ) এক মিনিট অন্ধকারে (ব্ল্যাক আউট) ছিল পুরো দেশ। রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত জরুরি স্থাপনা ছাড়া সারাদেশে প্রতীকী এ ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হয়। কিন্তু জয়পুরহাটে তা মানা হয়নি। জেলা প্রশাসনের নিমন্ত্রণপত্রে যে কর্মসূচি দেয়া হয়েছে, সেখানেও ‘ব্ল্যাক আউটের’ কথা উল্লেখ ছিল না।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানস্থলে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের আসন বিন্যাস ঠিক না রাখা, দীর্ঘসময় মাঠে অনুষ্ঠান গড়ালেও প্রচার মাইকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান ও উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অশোক ঠাকুরের নাম ঘোষণা না করায় ক্ষুব্ধ দুই জনপ্রতিনিধিসহ সাংবাদিকরা অনুষ্ঠান বর্জন করেন।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অব্যবস্থাপনা দেখে ক্ষুব্ধ স্থানীয় সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও আমি অনুষ্ঠান থেকে চলে আসি। ঠিকমতো অনুষ্ঠান কর্মসূচি সাজাতে পারেনি তারা।
স্থানীয় সাংবাদিকদের অনুষ্ঠান বর্জনের কারণ জানতে চাইলে জয়পুরহাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোস্তাকিম ফাররোখ বলেন, প্রায় প্রতিটি দিবসে সবার আসন ঠিক থাকলেও শুধুমাত্র সংবাদকর্মীদের আসন ঠিক থাকে না। এজন্য জেলা প্রশাসনের উদাসীনতাকেই দায়ী করছি আমরা।
‘ব্ল্যাক আউট’ পালন না করার বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র রায়কে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হাসেন বলেন, অনুষ্ঠান আয়োজনের মূল দায়িত্বে ছিলেন একজন এনডিসি। তিনি এই জেলায় নতুন হওয়ায় বিষয়টি বুঝতে পারেননি। আগামীতে সব কিছু নিয়ম মাফিক করা হবে। এজন্য কেউ কষ্ট নেবেন না।