একে তো বেকার, তার উপড়ে তিন মাস সাত দিন ধরে ধারকার্য করে ন্যাশনাল সার্ভিসের তিন মাস মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে বেতন না পেয়ে দেনায় জর্জরিত স্বরূপকাঠির প্রথম ধাপের এক হাজার কর্মী। তার উপড়ে উপজেলা কর্মকর্তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী কর্ম ক্ষেত্র বেধে দেওয়া ও ললনাদের দিকে আকর্ষন সব মিলিয়ে দূর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছেন তারা।
সরকারের মহতি উদ্যোগে গত জানুয়ারী মাসের তিন তারিখে স্বরূপকাঠীর দুই হাজার তিন শত ঊননব্বই জন বেকারের মধ্যে তিন ধাপে ভাগ করে প্রথম ধাপের এক হাজার বাছাইকৃত বেকারের তিন মাস মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। কিন্তু ফেব্রুয়ারী মাসে তাদের প্রাপ্য হাজিরা প্রতি এক শত টাকা উপজেলার সংশ্লিস্ট দপ্তরে আসলেও আজ পর্যন্ত এক কাটা দেয়া হয়নি তাদের। উপজেলা সহকারী- প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা(এটিও) শাহাদাৎ হোসাইনের মাধ্যমে উক্ত সার্ভিসে প্রশিক্ষণরত দশ ললনাকে বেছে নিয়ে অনেকটা জোর করা হয় ইউএনও অফিসে কাজ করানোর জন্য। কিন্তু এক জন ব্যাতিত প্রয়োজনে চাকরি করবেনা কিন্তু সেখানে(ইউএনও অফিসে) কাজ করবেনা এমন পরিস্থিতি তৈরী হলে বাকি নয় জনকে শিক্ষাসহ বিভিন্ন দপ্তরে কাজের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। উপরের কথাগুলো বলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ন্যাশনাল নার্ভিস কর্মসূচির ৬ষ্ঠ পর্ব অনুযায়ী স্বরূপকাঠি উপজেলায় প্রথম ধাপে মেীলিক প্রশিক্ষণ গ্রহন করা কর্মীরা।
অভিযোগ উঠেছে দশ টাকার রেপ কাগজে কর্মীদের ক্রমিক নং, কর্মীর নাম, মোট কার্য দিবস ৭৩ দিন(প্রতি ঘরে), কর্মীর উপস্থিতি(ফাকা), হাজিরা প্রতি টাকা(এক শত প্রতি ঘরে), মোট প্রাপ্য টাকা(ফাকা), একাউন্ট নম্বর প্রতি ঘরে, দশ টাকার রেভিনিউ স্টম্পের সাথে মিল করে কর্মীর প্রতি সই নেয়া হয়েছে যা মোবাইল ফোনে স্থির ছবি ধারণ করে তারা(কর্মীরা) তথ্য সংবাদকর্মীদের কে দেয়। এব্যাপারে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ হোসেন শামীম বলেন, তাদের ভাতার জন্য বরাদ্দ এসেছে। দশ টাকার স্টাম্প সম্বলিত রেপ কাগজে মোট হাজিরা ও প্রাপ্য টাকার ঘর ফাঁকা রেখে সই নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক হাজার লোকের হাজিরা ও টাকা বসাতে অনেকটা সময়ের ব্যাপার তাই ঘর দুটো ফাঁকা রেখে তাদের সই নেয়া হয়েছে এবং তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন দপ্তরে যোগদান করেছে তাই তাদের একত্রিত করতে ঝামেলা হতে পারে ভেবেই আগে সই নেয়া হয়েছে।
বিল দেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণকালীন তাদের হাজিরা সিট করা হয়েছিল তাই উপস্থিতি দেখে ওই রেপ কাগজে বসিয়ে দেয়া হবে এবং যে যতদিন উপস্থিত হয়েছে তাকে ততদিনের টাকা দেয়া হবে, যে যতদিন অনুপস্থিত থাকবে সেটা কর্তন করা হবে। হাজিরায় বন্ধ দেয়া প্রশিক্ষণার্থীদের টাকা কি করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার উপড় বিশ^াষ রাখেন এখান থেকে এক টাকাও নড়চর হবেনা।
ন্যাশনাল সার্ভিসের প্রথম ধাপের প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে আলোচিত বাছাইকৃত দের কাজের জন্য জোর করার ব্যাপারে এটিও শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে আমরা দশ জনকে সেখানে কাজের জন্য বাছাই করি কিন্তু নিঝুম নামের এক কর্মী ব্যাতিত অন্য নয় জনার কেউই সেখানে কাজ করতে না চাওয়ায় তাদের শিক্ষাসহ অন্যান্য দপ্তরে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে স্বরূপকাঠি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মোবাইলে কথা বলতে নারাজী প্রকাশ করেন।