দেশের করোনা পরিস্থিতি আবারও খারাপের দিকে যাচ্ছে। চলতি মাসের শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে সংক্রমণ এবং মৃতের সংখ্যার উল্লম্ফন। করোনার এই বাড়বাড়ন্ত অবস্থায় সরকার এখনো নতুন কোনো বিধিনিষেধ বা লকডাউন ঘোষণা করেনি। তবে গতকাল (২৮ মার্চ) রাতে একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শিগগিরই বিভিন্ন টাইপের লকডাউন আসছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সময়ের পরিক্রমায় মানুষের জীবনযাত্রা এখন প্রায় স্বাভাবিক। আগের মতো সচেতনতা নেই। বিভিন্ন অনুষ্ঠান হচ্ছে, বিয়ে হচ্ছে, ওয়াজ-মাহফিল হচ্ছে। ওদিকে সংক্রমণ আবারও চূড়ায় পৌঁছে গেছে। এ অবস্থায় আমরা যদি সতর্ক না হই, তাহলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা আবারও কড়াকড়ি বিধিনিষেধে যাচ্ছি। বিভিন্ন টাইপের লকডাউনের ঘোষণা আসবে। বিশেষত ভ্রমণের লাগাম টানতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এলাকায় যাওয়া-আসা বন্ধ করা হবে। বিয়েশাদিসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে। ওয়াজ-মাহফিল, পিকনিকেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে।
‘সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিধিনিষেধের কিছু প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেগুলো দেখে মতামত ব্যক্ত করবেন। তারপরই বিভিন্ন ক্যাটাগরির লকডাউন প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’ যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এদিকে বাড়বাড়ন্ত সংক্রমণ রুখতে সম্প্রতি ১২টি সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও বর্তমানে করণীয় সম্পর্কে জরুরি সভার এই সিদ্ধান্তগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- সম্পূর্ণ লকডাউন সম্ভব না হলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সমন্বয় রেখে জনসমাগম বন্ধ করা; শপিংমল, মসজিদ, রাজনৈতিক সমাগম, কাঁচাবাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, ভোট অনুষ্ঠান,ওয়াজ-মাহফিল সীমিত করা; আরও কড়াকড়িভাবে আইসোলেশন-কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা; আগামী ঈদুল ফিতরের ছুটি কমিয়ে আনা এবং পর্যটন এলাকায় চলাচল সীমিত করা।