আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমসহ দুইজনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করলেন তার ছেলের বউ। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করার পর এই বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুর ১২টার কিছু পরে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জেল হোসেনের আদালতে এই মামলার আবেদন করেন দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদের স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা।
মামলার আবেদনে আপন রিয়েল এস্টেটের উপদেষ্টা মোখলেসুর রহমানকেও আসামি করার আবেদন করা হয়েছে।
১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি ৩১৩, ৩২৩, ৩৮৬, ৪০৬,৫০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলার আবেদনটি করা হয়েছে।
অবৈধভাবে গর্ভের সন্তান নষ্ট, মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে মূলত এই মামলার আবেদন করেছেন ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা।
পিয়াসা আদালতে তার জবানবন্দিতে বলেন, গত ৫ মার্চ আমার শ্বশুর ও তার লোকজন আমার বাসায় ঢুকে আমাকে মারধর করেন। এ সময় আমার গর্ভে থাকা ২ মাসের বাচ্চা ও আমাকে হত্যা করতে চান। সাফাতের সঙ্গে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তিনি বিভিন্ন সময় নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ করেন।
পিয়াসা অভিযোগ করে বলেন, সাফাতের সঙ্গে আমার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর শ্বশুরের পরিবারের সঙ্গে যৌথভাবে বসবাস করে আসছি। বিয়ের পর থেকে আমার শ্বশুর দিলদার আহমেদ আমাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতে থাকেন। আমাকে তালাক দেয়ার জন্য সাফতকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করেন তার বাবা। তালাক না দিলে তাকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা ও সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করারও হুমকি দেন।
তিনি আরও বলেন, সাফাত বনানী রেনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর গত ৩১ নভেম্বর জামিনে মুক্ত পান। এরপর তাকে নির্যাতনের বিষয়গুলো অবহিত করি। এতে আমার শ্বশুর আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান। আমি আর সাফাত একসঙ্গে বসবাস করা অবস্থায় ১৩ ফেব্রুয়ারি তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। তিনি জেলে যাওয়ার পর শ্বশুর ও তার সহযোগী মোখলেছুর রহমান আমাকে নির্যাতন করতে থাকেন।
পিয়াসা বলেন, আমি দুই মাসের গর্ভবতী। আমার গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার উদ্দেশে তলপেটে লাথি মারার চেষ্ঠা করেন এবং ধাক্কা দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন শ্বশুর। পরের দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে আসলে আমার শ্বশুর আমাকে বলে, আমার বাড়িতে কখনো প্রবেশ করলে তোকে জানে শেষ করে দেব। তিনি চড়-থাপ্পড় মেরে আমাকে বাসা থেকে বের করে দেন।