29 C
Dhaka
এপ্রিল ২৪, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
ইসলাম ধর্ম

আল্লাহর বিধান লঙ্ঘনে পরিণতি

হজরত দাউদ আলাইহিস সালামের সময়ে ঘটনা উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য শিক্ষণীয় ঘটনা। যারা আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করবে তাদের পরিণতি কী হতে পারে তার কিছু নমুনা রয়েছে এ বর্ণনায়।

ইবাদতের দিন হিসেবে হজরত দাউদ আলাইহিস সালামের অনুসারিরা ‘শনিবার’ কে বাছাই করেছিলেন। আর শনিবার সমুদ্রের মাছ শিকার করা ছিল নিষিদ্ধ। তারা এ বিধান লঙ্ঘনে কৌশল অবলম্বন করেছিলেন।

সাপ্তাহিক ইবাদতের দিন ‘শনিবারের মাছ ধরার কৌশল নিয়ে তারা ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তাদের দু’টি দল শাস্তির সম্মুখীন হয় আর একটি দল মুক্তি পেয়ে যায়। তাদের এ বিভক্তি ও কার্যক্রম থেকে মুসলিম উম্মাহর জন্য রয়েছে বিশেষ শিক্ষা-

শাস্তিপ্রাপ্ত দল

আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করে শনিবার মাছ শিকারের অপকৌশল গ্রহণ করায় তারা আল্লাহর শাস্তির সম্মুখীন হয়। অর্থাৎ বিধান লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত সবাই বানরে পরিণত হয়ে যায়। পুরুষেরা বড় বানর আর স্ত্রীরা বানরীতে রূপান্তরিত হয় এবং শিশুরা ছোট বানরে পরিণত হয়।

দ্বিতীয় দলটি অন্যায় কৌশল গ্রহণ না করেই এ গজবে পতিত হয়। কারণ তারা এ অন্যায় কৌশল গ্রহণকারীদেরকে আল্লাহর অবাধ্য হওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করেনি এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্কও ছিন্ন করেনি। তাই তারাও আল্লাহর গজবে নিপতিত হয় এবং বানরে পরিণত হয়। অন্যায়ের প্রতিবাদ না করাই ছিল তাদের অপরাধ।

মুক্তিপ্রাপ্ত দল

শনিবারের বিধান লঙ্ঘনকারীদের অন্যায়ের প্রতিবাদকারী এবং অন্যায়কারীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নকারী দল মুক্তি লাভ করে। কারণ তারা আল্লাহর অবাধ্য হওয়ার কারণে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং তাদের বাসস্থানের মধ্যে চলাচলের রাস্তা ছাড়া সীমানা তৈরি করে আলাদা হয়ে যায়। যার ফলশ্রুতিতে আল্লাহ তাআল তাদেরকে এ গজব থেকে হেফাজত করেন।
এ কারণেই রাসুলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের সামনে যদি কোনো অন্যায় কাজ সংঘটিত হতে দেখ, তবে তা হাত দ্বারা বাধা দাও, সামর্থ না থাকলে মুখ দ্বারা বাধা দাও, যদি তাতেও সামর্থ না থাকে অন্তরে ঘৃনা করো। (অন্তরে ঘৃণার মানে হলো এ অন্যায় থেকে বিরত রাখতে নিরবে গোপনে অন্যায়ের প্রতিরোধমূলক কাজ চালিয়ে যাও) আর এটা হচ্ছে ঈমানের দুর্বলতম পরিচয়।

সুতরাং আল্লাহর বিধানের লঙ্ঘন নয়, বরং তার বিধানের আনুগত্য করা। যারা বিধান লঙ্ঘন করে তাদেরকে অন্যায় থেকে ফিরিয়ে রাখা অন্যথায় তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। আর এটাই ঈমানের দাবি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর শাস্তি থেকে হেফাজত করতে তার বিধানের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন ও অনুসরণ করার পাশাপাশি অন্যায়ের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করার তাওফিক দান করুন।

আমিন।

সম্পর্কিত পোস্ট

রোজা রেখে আতর-পারফিউম ব্যবহার করা যাবে?

banglarmukh official

গর্ভবতী নারীর রোজার মাসয়ালা

banglarmukh official

তারাবির নামাজ ছুটে গেলে করণীয়

banglarmukh official

রোজা অবস্থায় কি দাঁত ব্রাশ করা যাবে?

banglarmukh official

চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে রোজা শুরু শনিবার

banglarmukh official

শাবান মাসে কত তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা যাবে

banglarmukh official