বেশ কিছু ভেষজ উপাদান আছে যা স্বাস্থ্যের উপকার করে। ঠিক যেমন চিরতা। অনেকেই এর নাম শুনলেই বিরক্তি বোধ করেন। এর কারণ হলো চিরতার তেঁতো স্বাদ। তবে জানেন কি, এই এক উপদানেই শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন আপনি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চিরতার কোনো জুড়ি নেই। স্বাদে তেঁতো হলেও স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর এই ভেষজ। শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরানো থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, জ্বর কমানো, তারুণ্য বজায় রাখাসহ চিরতার আছে হরেক গুণ। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চিরতার পানি বেশ উপকারী। চিরতা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া চিরতার পানি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণও কম করে।
>> তারুণ্য ধরে রাখতে কে না চান! এজন্য দৈনিক সকালে খালি পেটে চিরতার পানি খেতে হবে। কারণ চিরতা রক্তকে পরিষ্কার করে। রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এতে ত্বক ভেতর থেকে সুস্থ থাকে। ব্রণ ও ফুসকুড়ির সমস্যাও দূর হয়।
অ্যালার্জির সমস্যায় অনেকেই গুরুতরভাবে ভোগেন। অ্যালার্জির জন্য শরীর ফুলে যায়, চোখ ফুলে যায়, সর্দি-কাশিসহ আরও নানা রকম সমস্যা হয়। চিরতা এক্ষেত্রে উপকারী। হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলেও এই পানি খেতে পারেন।
>> লিভার সুস্থ রাখতেও চিরতার পানি দারুণ উপকারী। এতে লিভার পরিষ্কার রাখে। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। তাই ফ্যাটি লিভারের রোগীরা নিয়মিত চিরতার পানি খেতে পারেন।
চিরতার পানি শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেয়। ভেতর থেকে শরীরকে রাখে পরিষ্কার।
>> হজমের সমস্যা হলে দ্রুত চিরতার পানি খান। এটি বদহজম ও অ্যাসিডিটি থেকে রক্ষা করে। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
>> রক্ত স্বল্পতার সমস্যায় অনেক নারীই ভোগেন। তারাও নিয়মিত পান করতে পারেন চিরতার পানি। এই সমস্যাকেও সমাধান করে ভেষজ এই উপাদান। এছাড়া অ্যানিমিয়ার সমস্যা কমাতেও চিরতার পানি ভীষণ উপকারী।
কীভাবে খাবেন চিরতা?
৪-৫ গ্রাম শুকনো চিরতা এক গ্লাস গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে সেই পানি ভালো করে ছেঁকে খালি পেটে পান করুন। তেঁতো স্বাদকে উপক্ষা করে বরং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে নিয়মিত চিরতা খেতে পারেন।
তবে শারীরিক কোনো গুরুতর সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই চিরতার পানি পান করবেন।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস