প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস বলেন, ‘এটাতো জোর জবরদস্তির কিছুনা।
তারা (ছাত্ররা) হলে থাকতে চাইলে থাকতে পারবে, না চাইলে থাকবে না। এটাতো আলোচনার বিষয় ছিল, তারা যেতে চায়নি। কি করার? থাকবে। ছাত্রদের সাথে তো আমাদের অ্যাকশনের সম্পর্ক না।’
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদেরকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে সকাল থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
হল ছাড়ার নির্দেশের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা একযোগে হলে অবস্থান নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ছাত্রীদের হলে অবস্থান করতে দেয় শেখ হাসিনা হল কর্তৃপক্ষ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন হলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছে এবং তারা রাতে সেখানেই থাকবে বলে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গেলো মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে চলমান আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে গালি দেওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় উপাচার্য প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।