মস্তিষ্কের টিউমারে ভুগছেন তিন বছরের বেশি সময়। সিঙ্গাপুর, ভারত আর দেশে চিকিৎসা হয়েছে বিস্তর। প্রথমবার চিকিৎসার পর কিছুটা উন্নতিও হয়েছিল মোশাররফ রুবেলের। এক ডজনের বেশি কেমোথেরাপিও দেওয়া হয়েছে তখন। ধারণা করা হচ্ছিল, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবেন।
গত বছরের শেষ দিকে অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে আবার ভারতে চিকিৎসা করাতে যান মোশাররফ রুবেল। কিন্তু ফেব্রুয়ারির ২৩ তারিখে ঢাকা ফেরার পর থেকেই অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে জাতীয় দলের এ সাবেক বাঁহাতি স্পিনারের। একদমই খেতে পারছিলেন না। ফলে শরীর ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়ে।
অবশেষে শরীর বেশি খারাপ করায় গতকাল (সোমবার) মোশাররফ রুবেলকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। তার সর্বশেষ অবস্থা কেমন? চিকিৎসকরা কী বলছেন?
মোশাররফ রুবেলের স্ত্রী চৈতি আজ দুপুরে জাগো নিউজকে জানান, ‘ভারত থেকে আসার পর থেকেই খেতে পারছিলেন না একদমই। না খেতে পেরে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। গতকাল অবস্থা একটু বেশি খারাপ হয়ে গিয়েছিল। জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা হয়। প্রেশারও কমে গিয়েছিল একদমই। তাই আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।’
এখন কী অবস্থা? চৈতি জানান, ‘আজ একটু নড়াচড়া করছে। কথা বলতে না পারলেও রেসপন্স করছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কঠিন পানিশূন্যতায় ভুগছেন। আর সোডিয়ামও বেড়ে গেছে প্রচুর। এটা হয়েছে একদমই খাবার খেতে না পারায়।’
চৈতি যোগ করেন, ‘চিকিৎসকরা বলেছেন কিছু দিন আইসিইউতে থাকতে হবে। সোডিয়াম কমাতে হবে। পানিশূন্যতা পূরণও খুব জরুরী।’