কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে ইউএস-বাংলা এয়ালাইন্সের একটি প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত পিয়াস রায়ের মরদেহের অপেক্ষায় রয়েছেন তার পরিবার।
পিয়াসের মরদেহ শনাক্ত করতে না পেরে এরই মধ্যে তার বাবা সুখেন্দু বিকাশ রায় বাড়িতে ফিরে এসেছেন খালি হাতে।
বুধবার (২১ মার্চ) কথা হয় নিহত পিয়াসের বোন জামাই হিমাদ্রি সরকার শুসময়ে সঙ্গে।
তিনি বলেন, গত ১৬ মার্চ দুপুরে ইউএস-বাংলা এয়ালাইন্সের তত্ত্বাবধায়নে একটি ফ্লাইটে পিয়াসের বাবা সুখেন্দু বিকাশ রায়কে নেপালের কাঠমুন্ডতে পৌঁছায়। সেখানে থেকে পিয়াসের মরদেহ শনাক্ত করার চেষ্টা করেন তিনি। তবে পিয়াস এমনভাবে দগ্ধ হয়েছে তাই মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
‘পরবর্তীতে বাবা (শশুর) সোমবার (১৯ মার্চ) দেশে ফিরে আসেন। পাশাপাশি ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে মরদেহ শনাক্তের প্রাথমিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। পুরো প্রক্রিয়ায় আরও সময় লাগবে বলে চিকিৎসক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানালে মঙ্গলবার (২০ মার্চ) রাতে তিনি বরিশালে চলে আসেন।’
তবে পরবর্তীতে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার ঢাকায় যাওয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানান নিহতের ভগ্নিপতি শুসময়।
এদিকে আব্দুল গফুর সড়কের বাসায় নিস্তব্দতা বিরাজ করছে। শোকে পাথর হয়ে গেছেন পিয়াসের মা ও বোন।
পিয়াসের বোন শুভ্রা রানী বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর শুনে প্রথম বুঝেছি এই বুঝি ভাই ফোন দিয়ে বলবে আমি ঠিক আছি। সে অপেক্ষা শেষে জানলাম ভাই আর নেই। ভেবেছিলাম সোমবার (১৯ মার্চ) ভাইয়ের মরদেহ হয়তো বাকি মরদেহর সঙ্গে দেশ আসবে। কিন্তু তাও আসলো না।’
‘এখন সবাই মরদেহ অপেক্ষায় আছি। আর মা কেমন যেন ভেঙে পরেছেন। কারো সঙ্গে কথা বলছে না। এমনকি কান্নাও করছে না।’—বললেন প্লেট দুর্ঘটনায় নিহত পিয়াসের বোন শুভ্রা রানী।
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস২১১। এতে নিহত হন ৪৯ জন। তাদের মধ্যে ২৬ জনই বাংলাদেশি। এদের মধ্যে শনাক্ত করে ঢাকায় আনা হয়েছে এই ২৩ জনের মরদেহ।