বরিশালে পুলিশ কনস্টেবল পদে লিখিত পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় আটক দুই পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার (৭ মার্চ) পাবলিক পরীক্ষা আইনে বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করে পুলিশ। রাতে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (৬ মার্চ) বিকেল ৩টায় বরিশালের সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পুলিশ কনস্টেবল পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষাচলাকালে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কমল চন্দ্র শীলের ছেলে শেখ চন্দ্র শীল নামে এক পরীক্ষার্থী গোপনে মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেন। যা হলের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচর হয়। মোবাইল ফোনটি চেক করে দেখা যায়। পরীক্ষার্থীর ব্যবহৃত শেখর রায় তুর্জ (Shakear Roy Turzo) নামে ফেসবুক মেসেঞ্জার থেকে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে মো. মাইনুল ইসলাম শাওনের ব্যবহৃত এফাবল নীল (Affable Nil) নামক ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠানো হয়। মো. মাইনুল ইসলাম শাওন তার ব্যবহৃত (Affable Nil) মেসেঞ্জার থেকে ওই প্রশ্নপত্রের উত্তর তৈরি করে পুনরায় শেখর রায় তুর্জের (Shakear Roy Turzo) মেসেঞ্জারে পাঠিয়েছেন। যে উত্তর শেখর রায়ের খাতায় লিখিত উত্তরে সঙ্গে হুবহু মিল পাওয়া যায়।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে পুলিশ শেখর চন্দ্র শীলকে আটক ও সিমসহ তার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকেরগঞ্জ সদরের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. মাইনুল ইসলাম শাওনকেও আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় ও মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।