33 C
Dhaka
এপ্রিল ২৪, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
ইসলাম ধর্ম

মুমিনকে রাজত্বদান করার যে অঙ্গীকার করেছেন আল্লাহ

সব ক্ষমতার মালিক আল্লাহ তাআলা। তিনিই মানুষকে ক্ষমতা বা রাজত্ব দান করেন। তবে আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে শুধু মুমিনদেরকে শর্তসাপেক্ষে রাজত্ব দানের ওয়াদা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-

তোমাদের মধ্যে যারা (আল্লাহর উপর) বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎ কাজ করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন। যেভাবে তিনি পূর্ববতীদেরকে শাসনকর্তৃত্ব দান করেছেন এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের জীবনব্যবস্থাকে, তিনি তাদের জন্যে যা পছন্দ করেছেন এবং ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে প্রশান্তি দান করবেন। (শর্ত হলো) তারা আমার ইবাদাত করবে এবং আমার সঙ্গে অংশীদার স্থাপন করবে না। তারপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে, তারাই অবাধ্য।’ (সুরা নুর : আয়াত ৫৫)

আল্লাহ তাআলা এ ঘোষণায় মুমিনের যে কাজগুলোকে সুস্পষ্ট করেছেন তাহলো-

– সৃষ্টিকর্তা হিসেবে এককভাবে আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস রাখতে হবে।
– আমলে সালেহ তথা নেক কাজ করতে হবে।
আয়াতের শেষাংষে এ দুটি বিষয়ের ওপরই যেন নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে তা তাগিদ দিয়ে উল্লেখ করেছেন যে-
– আমলে সালেহ তথা ইবাদত শুধু আল্লাহ তাআলারই করতে হবে; অন্য কারো নয় এবং
– কোনোভাবে আল্লাহর সঙ্গে অংশীদার স্থাপন করা যাবে না।

আল্লাহর বিশ্বাস স্থাপন ও তার ইবাদতে দুনিয়ার সব ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করতে হবে। সব কাজে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে। যখনই মানুষ শান্তি ও নিরাপত্তার মাধ্যমে উল্লেখিত দুটি শর্ত পূরণ করবেন, তখনই আল্লাহ তাআলা মানুষকে সার্বিক প্রশান্তির সঙ্গে শাসন ক্ষমতা দান করবেন। আর এটিই মহান প্রভুর ওয়াদা।

সুতরাং ঈমানদার ব্যক্তি নিজের খেয়াল-খুশী মতো কোনো কাজ করতে পারবে না। কোনো চাহিদা পূরণ করতে পারবে না। সব বিষয়ে মহান আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল হবে। তবেই আল্লাহ তাআলা পরিপূর্ণ প্রতিদান দান করবেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো পদ্ধতিতে শিরক থেকে বেঁচে থাকতে বেশি বেশি এ প্রার্থনা করা-

اَللهثمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكِ اَنْ اُشْرِكَ بِكَ وَ اَنَا اَعْلَمُ وَاسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا اَعْلَمُ

উচ্চারণ :আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন উশরিকাবিকা ওয়া আনা আলামু ওয়া আসতাগফিরুকা লিমা লা আলামু।’ (মুসনাদে আহমাদ)

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমার স্বজ্ঞানে তোমার সঙ্গে শিরক করা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। আর অজানা অবস্থায় যদি শিরক হয়ে যায়, তবে তা থেকে ক্ষমা চাই।’

আল্লাহ তআলা মুসলিম উম্মাহকে তার সঙ্গে শিরক করা থেকে মুক্ত থেকে ইবাদত বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। বান্দার সঙ্গে করা আল্লাহর অঙ্গীকার লাভের তাওফিক দান করুন।

আমিন।

সম্পর্কিত পোস্ট

রোজা রেখে আতর-পারফিউম ব্যবহার করা যাবে?

banglarmukh official

গর্ভবতী নারীর রোজার মাসয়ালা

banglarmukh official

তারাবির নামাজ ছুটে গেলে করণীয়

banglarmukh official

রোজা অবস্থায় কি দাঁত ব্রাশ করা যাবে?

banglarmukh official

চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে রোজা শুরু শনিবার

banglarmukh official

শাবান মাসে কত তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা যাবে

banglarmukh official